পাইলস এর লক্ষণ ও কারণ - পাইলস এর চিকিৎসা

প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা আসসালামু আলাইকুম, আজকের আলোচ্য বিষয় হলো- পাইলস কি, পাইলসের প্রকারভেদ, পাইলস এর লক্ষণ, পাইলস এর চিকিৎসা, পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা, পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম, পাইলস এর চিকিৎসা কোথায় ভালো হয়, পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ হোমিওপ্যাথি, পাইলস এর ছবি, পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ, পাইলস এর খাবার,পাইলস এর ক্রিম সম্পর্কে।
অনেকেই পাইলস জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার পরও আপনারা বুঝতে পারেন না যে আসলে আপনাদের পাইলস হয়েছে কিনা। তাই আপনাদের আজ আমার আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানাবো পাইলস এর লক্ষণ ও পাইলস এর চিকিৎসা সম্পর্কে। তাহলে চলুন পাইলস এর লক্ষণ ও পাইলস এর চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।

সূচিপত্রঃ পাইলস  এর লক্ষণ - পাইলস এর চিকিৎসা

পাইলস কি

পাইলস এর অপর নাম অর্শ্বরোগও বলা হয়। হেমোরয়েডস বা পাইলস হল বর্ধিত রক্তনালী যা আপনি আপনার মলদ্বারের ভিতরে বা চারপাশে পেতে পারেন। আপনার মলদ্বারে রক্তনালী থাকা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, কারণ তারা ধারাবাহিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যদি এই রক্তনালীগুলো বড় হয়ে যায়, যা উপসর্গ সৃষ্টি করে তাকেই পাইলস বা অর্শ্বরোগ বলা হয়। 

পাইলসে প্রকারভেদ

অনেকেই আছেন যারা পাইলস সমস্যায় ভুগেন এবং অনেকে জানেন না আপনার পাইলস টি কোন প্রকৃতির। সুতরাং নিম্নে পাইলসের প্রকারভেদ গুলো আপনাদের সুবিধার্থে বর্ণনা করা হলো:
  • অভ্যন্তরীণ পাইলস (Internal Hemorrhoids): অভ্যন্তরীণ পাইলস মাংশপেশির ভিতরে গঠিত হয়। এটি সাধারণত ব্যথা না করে এবং বসে থাকে।
  • বহিঃ পাইলস (External Hemorrhoids): বহিঃ পাইলস মাংশপেশির বাহিরে গঠিত হয়। এটি কাঁচ ও স্বাদহীনতা দেয়।
  • সমবেত পাইলস (Mixed Hemorrhoids): সমবেত পাইলস হল একটি সমন্বিত পাইলস যেখানে অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃ পাইলস একসাথে উপস্থিত থাকে।
এছাড়াও পাইলসের গ্রেডিং বা মান বিভাজনের জন্য একটি সিস্টেম আছে, যা পাইলসের আকার ও গঠন উল্লেখ করে। এই গ্রেডিং সিস্টেম নিম্নলিখিত হতে পারে:
  • গ্রেড I (Grade I): গ্রেড ১ পাইলস সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রাথমিক ধরণের পাইলস। এই ধরণের পাইলসে কোনও বস্তু বাইরে প্রকাশিত হয় না এবং কোনও লক্ষণ দেখা যায় না।
  • গ্রেড II (Grade II): গ্রেড ২ পাইলস একটি উল্লেখযোগ্য গ্রেড হয় যা কিছু লক্ষণ সহ হয়। এই ধরণের পাইলসে মারাত্মক ব্যথা, রক্তস্রাব, অস্থিরতা, স্থানিক সমস্যা ইত্যাদি দেখা যায়।
  • গ্রেড III (Grade III): গ্রেড ৩ পাইলস একটি আধিকাংশিক গ্রেড হয় যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ সহ হয়। এই ধরণের পাইলসে মারাত্মক ব্যথা, অস্থিরতা, রক্তস্রাব ইত্যাদি লক্ষণ প্রদর্শিত হয়।
  • গ্রেড IV (Grade IV): গ্রেড ৪ পাইলস সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রেড যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সমস্যাপূর্ণ হয়। এই ধরণের পাইলসে স্বাভাবিক লক্ষণ বেশি প্রদর্শিত হয় এবং মারাত্মক ব্যথা, রক্তস্রাব, মস্তিষ্কবিশেষ সমস্যা, আংশিক পাইলসের প্রোলাপ্স, জ্বালাপোড়া, মস্তিষ্কের অনুপাতিক চিত্র ইত্যাদি পাওয়া যায়।

এই পাইলসের প্রকারভেদ মহিলাদের এবং পুরুষদের উভয়েই প্রভাবিত করতে পারে। সুতরাং এখন হয়তো আপনার বুঝতে পেরেছে পাইলসের প্রকারভেদ সম্পর্কে। তাছাড়া এই সমস্যার সম্পর্কে আপনাকে একজন চিকিৎসকে পরামর্শ নেওয়ার অত্যন্ত জরুরী।

পাইলস এর লক্ষণ

আপনার অনেকে পাইলস এর লক্ষণ সম্পর্কে অবহিত না। সুতরাং আপনার মাঝে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত পাইলস এর লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও আপনি বুঝতে পারেন না। সুতরাং আপনাদের এই সমস্যাগুলো দূর করার জন্য পাইলস এর লক্ষণ সম্পর্কে আজ আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে আসি পাইলস এর লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে-

অভ্যন্তরীণ পাইলস এর লক্ষণ

অভ্যন্তরীণ পাইলস এর লক্ষণ গুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ
  • রক্তের মিশ্রণ: অভ্যন্তরীণ পাইলসে আপনার মলদ্বারে রক্তের মিশ্রণ থাকতে পারে। মলদ্বারের সঙ্গে লাল বা সাদা রঙের রক্ত মিশে যেতে পারে।
  • ক্ষুদ্র বা মাংশপেশীর স্পট: অভ্যন্তরীণ পাইলসের ক্ষেত্রে মলদ্বারে ছোট ক্ষুদ্র বা মাংশপেশীর স্পট দেখা যেতে পারে।
  • অস্বাস্থ্যকর বা ব্যথা: অভ্যন্তরীণ পাইলসের কারণে আপনি অস্বাস্থ্যকর বা ব্যথার অনুভব করতে পারেন। মলদ্বারের এলাকায় একটি জ্বালাতন বা তিক্ততা হতে পারে।
  • অকার্যকরতা: আন্তরিক পাইলসের কারণে মলদ্বারের কাজ অকার্যকর হতে পারে। আপনি পুরোপুরি মলদ্বার খুলতে না পারেন বা কঠিনতা অনুভব করতে পারেন।
  • ক্ষুধামন্দা: অভ্যন্তরীণ পাইলস থাকলে আপনার ক্ষুধামন্দা বা খাদ্যের প্রতি আকর্ষণ কম হতে পারে।

বহিঃগত পাইলস এর লক্ষণ

বহিরাগত পাইলস একটি মানসিক বা মানসিক-শারীরিক সমস্যা যা পাইলসের নির্মাণের জন্য প্রভাবশালী হতে পারে। বহিরাগত পাইলস এর লক্ষণ গুলি নিম্নে দেওয়া হল:
  • বহিরাগত সমস্যা: বহিরাগত পাইলসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণটি হল বহিরাগত সমস্যা বা বহির্যাকার প্রকাশ। এটি আপনার শারীরিক এলাকায় বহিঃস্থ পাইলসের প্রকাশের ফলে দেখা যেতে পারে।
  • রক্তের ঝর্ণা: আপনার পাইলসের সাথে সম্পর্কিত রক্ত বা রক্তের ঝর্ণা সংঘটিত হতে পারে। আপনি পাশাপাশি রক্তের স্পূর্ত, রক্তচলন, বা রক্তের ধারার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হতে পারেন।
  • ক্ষুধামন্দা: বহিরাগত পাইলস হলে ক্ষুধামন্দা হতে পারে। আপনি স্বাভাবিক মাত্রায় কিছুটা খেলেই প্রচুর ক্ষুধা বোধ করতে পারেন।
  • ব্যথা এবং অসুবিধা: পাইলস থাকলে আপনার মলদ্বারে ব্যথা, অসুবিধা বা তিক্ততা বোধ করতে পারে। এটি সাধারণত বসন্তকালে প্রকাশ পায়, যখন তাপমাত্রা বাড়ে এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়াগত পরিবর্তন ঘটতে পারে।
  • মলদ্বারে ক্ষতিকারক প্রভাব: বহিরাগত পাইলস থাকলে মলদ্বারের এলাকায় প্রবেশ করলে মলদ্বারের ক্ষতিকারক প্রভাব হতে পারে। এটি সাধারণত বিচারহীন এবং পীড়াসহ পরিণত হয়ে যায়।

সমবেত পাইলস এর লক্ষণ

সমবেত পাইলস বা আন্তর্বেষ্টিত পাইলস হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা যেতে পারে:
  • মলদ্বারে ক্ষতিকারক প্রভাব: সমবেত পাইলস থাকলে মলদ্বারের এলাকায় ক্ষতিকারক প্রভাব দেখা যেতে পারে। মলদ্বার উভয় আন্তরিক এবং বহিঃস্থ পাইলস প্রভাবিত হতে পারে।
  • অস্বাস্থ্যকর বা ব্যথা: সমবেত পাইলসের কারণে মলদ্বারে অস্বাস্থ্যকর বা ব্যথার অনুভব করতে পারেন। মলদ্বারে ব্যথা, জ্বালাতন বা তিক্ততা হতে পারে।
  • গুদামার্গে স্বেচ্ছাসেবকতা: সমবেত পাইলস থাকলে আপনি গুদামার্গে স্বেচ্ছাসেবকতা অনুভব করতে পারেন। গুদামার্গে দাগ, জালি, পান্ডুলিপি, বা একটি স্থলবন্ধ দেখা যেতে পারে।
  • রক্তের ঝর্ণা: সমবেত পাইলস থাকলে আপনার পাতলা পাড় হতে পারে এবং মলদ্বারে রক্তের ঝর্ণা ঘটতে পারে। রক্ত বা রক্তচলনের সাথে মিশ্রণ পাতলা পাড়ে দেখা যেতে পারে।
  • পীড়াসহ ব্যাথা: সমবেত পাইলসের কারণে আপনি পীড়া এবং ব্যাথা অনুভব করতে পারেন। মলদ্বারে ব্যথা হতে পারে এবং তাপমাত্রা বা রাসায়নিক প্রক্রিয়া পরিবর্তনের সময় প্রকাশিত হতে পারে।

সাধারণত, এই পাইলস এর লক্ষণ গুলো পাইলসের প্রাথমিক এবং সাধারণ লক্ষণ হতে পারে। যদি আপনি উপরোক্ত পাইলস এর লক্ষণ অনুভব করেন বা সম্ভাবনা করেন যে আপনার পাইলস রোগ আছে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। একজন চিকিৎসক আপনাকে সঠিক তথ্য এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে সহায়তা করবেন।

পাইলস এর কারণ

আপনার পায়ুপথের শিরা ফুলে গেলে পাইলস হয় এবং যা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। পাইলস এর কারণ হিসেবে বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে যা নিম্নে দেওয়া হল- \
  • আপনি যখন টয়লেটে যান তখন আপনি চাপ দেন, উদাহরণস্বরূপ যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য  বা দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া থাকে, তবে তা পাইলস এর কারণ হতে পারে।
  • আপনার মলদ্বার খাল বয়সের সাথে দুর্বল হয়ে যায়, যা পাইলসের সম্ভাবনা বেশি করে এবং একসময় পাইলস এর কারণ হিসাবে দেখা যায়।
  • আপনার একটানা কাঁশি আছে এমন ক্ষেত্রেও পাইলশ হতে পারে।
  • আপনি নিয়মিত ভারী বস্তু উত্তোলন করার মাধ্যমে আপনার পাইলস হতে পারে। এটি সাধারণত যারা ভারী কাজ করে থাকে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যা পাইলস এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত।
গর্ভাবস্থা আপনার পাইলস এর কারণ হতে পারে। আপনি যখন গর্ভবতী হন তখন আপনার পেটে উচ্চ চাপের কারণে পাইলস হতে পারে। তবে চিন্তার কোন বিষয় নেই কেননা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পরে এই পাইলস ভাল হয়ে যায়।

পাইলস এর চিকিৎসা

অনেকে পাইলসের সমস্যায় অন্তর্ভুক্ত থাকার পরেও লজ্জাজনিত কারণে অনেকেই সমস্যার কথা খুলে বলতে পারেন না বা ডাক্তারের কাছে যেতে লজ্জাবোধ করে। যার ফলে আপনারা বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে গুগলে পাইলস এর চিকিৎসা সম্পর্ক অনুসন্ধান করে থাকেন। তাই আজ আপনাদের পাইলস এর চিকিৎসা গুলো সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে আসি পাইলস এর চিকিৎসা সম্পর্কে-


পাইলস এর চিকিৎসা সাধারণত দুটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। যা আপনাদের সুবিধার্থে বা আপনাদের সমস্যার সঠিক চিকিৎসা টি যেন আপনারা পেতে পারেন। পাইলস এর চিকিৎসা অংশ দুটি হল:
  • পাইলস এর প্রাথমিক চিকিৎসা
  • পাইলস এর চিকিৎসা গুরুতর সমস্যা (গ্রেড- ৩ ও ৪) ক্ষেত্রে

পাইলস এর প্রাথমিক চিকিৎসা

পাইলসের গ্রেড ১ ও ২ মধ্যে হলে পাইলস এর প্রাথমিক চিকিৎসা মাধ্যমে পাইলস সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তাহলে চলুন জেনে আসি পাইক এর প্রাথমিক চিকিৎসা সমূহ গুলো-
  • পরিবর্তনশীল খাদ্য ও পানীয়: পাইলস রোগের জন্য কঠিন পদার্থ খাবার এড়াতে যাবেন না। প্রতিদিনের খাদ্যা তালিকায় ফল, সবজি, প্রোটিন সহ সঠিক খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্যাস পানি পান করুন। ক্যাফিন ও কার্বনেটেড পানির ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
  • পরিষ্কারতা ও হাইজিন: পাইলসের জন্য পরিষ্কারতা বজায় রাখার জন্য নরম টিস্যু ব্যবহার করুন। সাবান বা জেল দিয়ে নিয়মিতভাবে নিজেকে পরিষ্কার রাখুন। টয়লেটে বসার সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
  • শারীরিক ব্যায়াম: নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা পাইলস সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারে। দীর্ঘ সময় বসা থাকা এবং অপ্রয়োজনীয় চাপ এড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
  • বিশেষ যত্ন রাখা: পাইলসের ক্ষেত্রে অধিক ক্যামিকেলযুক্ত শ্যাম্পু, তৈল, লোশন এবং টিস্যু ব্যবহারে বিরত থাকুন। যেসব পদার্থ আপনার পাইলসের এলাকা আঘাত করতে পারে তা থেকে বিরত থাকুন। আপনার পাইলস এলাকাকে শুষ্ক এবং পরিষ্কার রাখতে কাপড়ের সম্পর্কে বিশেষ যত্ন নিন।

পাইলস এর চিকিৎসা গুরুতর সমস্যা (গ্রেড-৩ ও ৪) ক্ষেত্রে

পাইলস একটি মহাবিশেষ অবস্থা যা পুরুষ ও মহিলাদের উভয়েরই দেখা যায়। গ্রেড-৩ এবং গ্রেড-৪ পাইলস হলে অবস্থাটি একটু গুরুতর হয় এবং চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা বাড়ে। সুতরাং যে ধরনের পাইলস এর চিকিৎসা গ্রহণ করা দরকার তা নিম্নে দেওয়া হল-
  • পাইলসের রেখাচিত্র: প্রথমে ডাক্তার মলাশয়ের বৈদ্যুতিন্যায় নির্ধারণ করতে পারেন যেমন পাইলসের আকার, সংখ্যা এবং অবস্থান সম্পর্কিত মানচিত্রণ করে। এটা ডাক্তারকে সঠিক পথনির্দেশনা দেয় যেমন কোন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করবেন তা নির্ধারণ করতে।
  • আহার ও পানীয় পরিবর্তন: পাইলসের ক্ষেত্রে আপনার ডাক্তার আপনাকে আহার ও পানীয়ের পরিবর্তন সুপারিশ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনার ডাক্তার আপনাকে সঠিক খাদ্য খাওয়ার উপর পরামর্শ দিতে পারেন যেমন আপনাকে বাইব্রেট-রিচ খাদ্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। আপনাকে পর্যাপ্ত পানিয়ের গ্রাস করাতে পারেন এবং পর্যাপ্ত ফাইবার সম্পন্ন খাবার গ্রহণ করার জন্য উপদেশ দিতে পারেন।
  • ঔষধ ব্যবহার: পাইলসের লক্ষণগুলি কমানোর জন্য ডাক্তাররা আপনাকে ঔষধ প্রেসক্রিপশন করতে পারেন। এই ঔষধগুলি পাইলসের সমস্যার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঔষধগুলির মধ্যে থাকতে পারে ক্রিম, ইনজেকশন এবং ট্যাবলেট। এই ওষুধগুলি বিভিন্ন ভাবে কাজ করে, যেমন ব্যথা কমাতে, বিস্তারিত ভাবে পাইলস বিচ্ছেদ করে এবং বায়ু বাহীর করে।
  • স্ক্লেরোথেরাপি(sclerotherapy): গ্রেড-৩ এবং গ্রেড-৪ পাইলসের জন্য কিছু নির্মাণকারী পদক্ষেপ নিতে হতে পারে। এদের মধ্যে আছে রামবাণ থারাপি, যা সাধারণত স্ক্লেরোথেরাপি বলা হয়। এটি একটি বৈদ্যুতিক পদ্ধতি, যা ব্যবহার করে পাইলস কে শুষ্ক করে ফেলে দেয়।
  • অপারেশন: গ্রেড-৩ এবং গ্রেড-৪ পাইলস সমস্যা যদি ওষুধ এবং অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান না পায়, তবে অপারেশন বিবেচনা করা হতে পারে। অপারেশনের মাধ্যমে সাধারণত পাইলস মুছে ফেলা হয়।
মনে রাখবেন যে পাইলস এর চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যক্তির ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ও সমস্যার উপর ভিত্তি করে বিবেচিত হয়। তাই আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে একটি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা অধিক গ্রহণযোগ্য।

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

পাইলস এর চিকিৎসা জন্য কয়েকটি পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা প্রয়োগ করা যায় যা সাধারণত মানুষের সমস্যায় উপকারী হতে পারে। তাছাড়া পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা সঠিকভাবে অনুসরণের মাধ্যমে পাইলস সমস্যা দূর করা যায়। তাহলে চলুন জেনে আসি পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো কি কি-
  • প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ ব্যবহার করুন: কার্বনেটেড ও কালোজিরো প্রস্তুত পানি, মিষ্টি, সবুজ সবজি ও ফলের মাধ্যমে পাইলস সাধারণত ভালো হয়।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রোটিন, ফাইবার, ফলবার্স ও যথাসম্ভব শাকসবজি যুক্ত খাবার খান। খাবারে বাহুল্য রয়েছে শাকসবজি ও ফলের। এছাড়াও সুস্থ কার্যক্রমের জন্য প্রতিদিন যথাযথ ব্যায়াম করতে হবে।
  • পানি পান করুন: প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করা উচিত। পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে মলদ্বারের প্রয়াসকে সহজ করে তুলতে পারে এবং এটি আপনার পায়খানা পরিষ্কার ও প্রবৃদ্ধি করবে।
  • পরিমিত পুষ্টি: একটি পাইলসের রোগীর জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। তারা খাবারে পরিমিত মাত্রায় ফাইবার রয়েছে এমন আহার যেন মলদ্বারে চলে আসতে সহায়তা করে, যেমন ফল, সবজি, ফ্রুট জুস, ড্রাই ফ্রুট, মাছ, গম, কাঠাল, ইসবগুল ইত্যাদি।
  • পেয়াজ, বাদাম বা সরিষার তেল ব্যবহার করুন: পেয়াজ, বাদাম বা সরিষার তেল মালিশ করে পাইলস প্রভাবিত এলাকা উপশম করতে পারে।
  • মেডিকেশন ব্যবহার করুন: পাইলসের জন্য কিছু ক্রিম বা সাদাসজ্জিত দ্রব্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যা অতিরিক্ত ব্যথা এবং সংশোধন করতে পারে। এছাড়াও ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী কোনও প্রেসক্রিপশনযুক্ত মেডিকেশন নিতে পারেন।
  • নরম এবং কুসুম তেল মালিশ: পাইলস স্থানে নরম এবং কুসুম তেল মালিশ করতে পারেন। এটি পাইলসের উপশম করতে সাহায্য করবে এবং ব্যথা কমাবে।
সুতরাং আশা করি, উপরোক্ত  পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা ধাপগুলো অনুসরণের মাধ্যমে পাইলস সমস্যা দূর করা যায়। তাছাড়া প্রত্যেকটি জিনিস নিয়ম অনুসারে করলে তার সুফল খুব দ্রুত পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে ইনশাআল্লাহ পাইলসের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।

পাইলস এর ছবি

অনেকে পাইলস রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরও পাইলস কেমন হয়ে থাকে তা জানেন না। যার কারণে সকলে পাইলস এর ছবি দেখার জন্য গুগলে অনুসন্ধান করে থাকেন। সুতরাং আপনাদের পাইলস এর ছবি সম্পর্কে অবগত করার জন্য নিম্নে পাইলসের ছবি ফ্রেম আকারে দেওয়া রয়েছে। যা বুঝতে আপনাদের সুবিধা হবে। তাহলে চলুন দেখে আসি পাইলস এর ছবি গুলো-


উপরোক্ত পাইলস এর ছবি গুলো দেখার মাধ্যমে আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন পাইলসের আকার-আকৃতি সম্পর্কে। তাছাড়া আপনাদের মধ্যে যদি পাইলস এর লক্ষণ দেখা দেয়, তবে পাইলস এর চিকিৎসা দ্রুত গ্রহণ করুন এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম

বর্তমানে একটি জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাইলস। যার কারণে সকলে পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম জানতে চাই। সুতরাং আজকের আর্টিকেলে পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম গুলো সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। কেননা পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম গুলো জানার মাধ্যমে আপনি আপনার সমস্যাটি দূর করতে পারেন। সুতরাং পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম গুলো নিম্নে দেওয়া হলো-
  • ক্রিম বা গেল প্রেপারেশন: এই ধরনের ঔষধগুলি পাইলস এর লক্ষণ মার্কা সহায়তা করে এবং সংশোধন করে। এদের মধ্যে হেমরয়েডস ক্রিম, কোর্টিজোন, প্রেপারেশন H ক্রিম উল্লেখযোগ্য। এই ক্রিমগুলি স্থানীয়ভাবে প্রয়োগ করা হয় এবং সাধারণত ক্ষতি কমানো, স্থিতিশুদ্ধি করা এবং ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল: কিছু পাইলস ঔষধের রূপে ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। এদের মধ্যে হেমরয়েডস ট্যাবলেট, বেইলেজ ক্যাপসুল এবং আইবিজিল ট্যাবলেট উল্লেখযোগ্য। এই ঔষধগুলি শরীরের ভিতরের পাইলস প্রতিরোধ করতে এবং পাইলসের সংক্রামন প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয়।
  • স্যুপপাউডার বা গোলাপী: কিছু ঔষধ স্যুপপাউডার বা গোলাপী রূপে পাওয়া যায়। হেমরয়েডস স্যুপপাউডার এবং পাইলকেয়ার সোলিউশন একটি উদাহরণ। এই প্রকারের ঔষধগুলি সাধারণত পাইলস এর সমস্যার জন্য আরাম এবং সুস্থতার সাধারণ প্রতিরোধ প্রদান করে।
  • হেমরয়েডস সাপ্লিমেন্টস: এই সাপ্লিমেন্টগুলি পাইলস বা হেমরয়েডস চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয় যাতে প্রতিরোধ ও সুস্থতা বাড়ানো যায়। হেমরয়েডস সাপ্লিমেন্টগুলি বিটিয়ান-সিন্ক, হেমরয়েডস সাপ্লিমেন্ট, হেমরয়েডস গোল্ড সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদি হতে পারে।
  • পাইলস লোশন বা সাপ: কিছু ঔষধ পাইলস লোশন বা সাপের রূপে পাওয়া যায়, যা পাইলস থেকে আরাম এবং সংশোধনে সহায়তা করে। পাইলস সাপের উদাহরণ হতে পারে হেমরয়েডস সাপ বা হেমরয়েডস কিয়ার সাপ।
উপরে পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম গুলো বিস্তারিতভাবে দেওয়া রয়েছে।  অবশ্যই মনে রাখবেন যে, পাইলস বা হেমরয়েডস রোগের জন্য ঔষধ নিতে আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ হোমিওপ্যাথি

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ হোমিওপ্যাথি পাইলস ভালো করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞান হলো একটি প্রতিষ্ঠানপ্রাপ্ত ঔষধপদার্থের পদার্থিক পরিবর্তনের ও ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করার পদ্ধতি। পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ হোমিওপ্যাথি পদ্ধতিতে পাইলসের চিকিৎসার জন্য একাধিক ঔষধ পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে আসি পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ হোমিওপ্যাথি কোনগুলো-
  • হামামেলিস (Hamamelis): পাইলসের মারাত্মক ছিদ্র কালে এই ঔষধটি ব্যবহার করা হয়। এটি রক্তশূন্যতা ও পাইলস সম্পর্কিত অবস্থায় কার্যকর হতে পারে।
  • সিলিসিয়া (Silicea): পাইলস এর জন্য ব্যবহৃত হয় যখন বাহ্যিক আঁশধারী বা পাইলসে পূঁজি উপস্থিত থাকে। এটি বাহ্যিক আঁশধারী প্রকৃতি বৃদ্ধি করে এবং ক্ষয়কারী কার্যকারিতা প্রদান করতে পারে।
  • নাক্স ভমিকা (Nux Vomica): পাইলস যখন অতিরিক্ত সমস্যা সহকারে দেখা দেয়, যেমন দুঃসম্পন্ন খাবার খেলে বা কফি পান করলে, তখন এই ঔষধটি ব্যবহার করা হয়।
  • আরনিকা (arnica): এই ঔষধটি পাইলসের জন্য কাফের ধরনে ব্যবহৃত হয়। যখন পাইলস সম্পর্কিত এলাকায় একটি ত্রুটি বা ছিদ্র উপস্থিত থাকে, তখন আরনিকা উপযুক্ত হতে পারে। এটি ছিদ্রের সূজন ও ব্যাথার সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে।
  • আর্নিকা মন্টানা (Arnica montana): এটি পাইলস জনিত ছিদ্রের সূজন ও ব্যাথার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি পাইলস সংক্রান্ত প্রবাহের সাথে সহায়তা করতে পারে।
উপরোক্ত পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ হোমিওপ্যাথি সেবনের মাধ্যমে পাইলসভালো করা যায়। মনে রাখবেন, পাইলস এর চিকিৎসা বিষয়টি কমপক্ষে একজন পেশাদার হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তারা আপনার মামলাটি পর্যাপ্ত ভাবে পর্যালোচনা করে ও উপযুক্ত ঔষধের পরামর্শ দেবেন।

পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে কিছু খাদ্য ও পানীয় আছে, যা ক্ষতিগ্রস্থ অংশগুলির প্রকাশ বা প্রকাশ বৃদ্ধি করতে পারে এবং সমস্যার ত্বরণ করতে পারে। নিম্নে পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ তা দেওয়া হল-
  • মাখন, ঘি এবং দুধের পণ্য: এই পণ্যগুলি পাইলস রোগের রোগীদের জন্য নিষিদ্ধ। এদের সেবন করলে পাইলস সমস্যার ত্বরণ বা ব্যথা বৃদ্ধি হতে পারে।
  • তীক্ষ্ণমধ্যম জলপানযোগ্য পণ্য: পাইলস রোগীদের দ্বারা আচার, কাচামরিচ, কমলালেবু ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এগুলি পাইলস সমস্যার ত্বরণ করতে পারে।
  • পিজ্জা ও বার্গার: পাইলস রোগীরা ভারী খাবার যেমন পিজ্জা, বার্গার, স্যান্ডউইচ এবং ডিমের চিপস এড়াতে হবে। এগুলি পাইলস সমস্যা বা ব্যথার ত্বরণ করতে পারে।
  • তেলে ভাজা খাবার: তেলে ভাজা খাবার পাইলস রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ বর্জ্য। এই ধরণের খাবার খেলে পাইলস সমস্যা বা ব্যথার ত্বরণ হতে পারে।
  • মিষ্টি ও কার্বোহাইড্রেট ধারক খাবার: স্বাদিষ্ট খাবার যেমন চকোলেট, বিস্কুট, কেক ইত্যাদি পাইলস রোগীদের জন্য বর্জ্য হতে পারে। এই ধরণের খাবার খেলে পাইলস সমস্যা বা ব্যথা বা সমস্যার ত্বরণ হতে পারে।
উপরে উল্লিখিত খাদ্য ও পানীয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাইলস রোগীদের সমস্যার বৃদ্ধি এবং ব্যথার ত্বরণ করতে পারে। সুতরাং আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে। পাইলস রোগের চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে এবং সম্পূর্ণ চিকিৎসার পালন করতে হবে।

পাইলস এর খাবার

পাইলসের চিকিৎসা এবং অনুবর্তী চিকিৎসামূলক ব্যবস্থা নির্ভর করে পাইলস এর খাবার উপরে। সুতরাং পাইলস এর খাবার সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। কেননা পাইলস এর খাবার হিসেবে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করলে রোগ মুক্তিতে সহায়তা করে। তাহলে চলুন জেনে আসি পাইলস এর খাবার তালিকা গুলো-
  • ফল ও সবজি: স্বাস্থ্যকর ফল ও সবজি পাইলস রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ কলিফলাওয়ার, পেয়াজ, স্পিনাচ, ব্রোকলি, গাজর, কমলা, পেয়ারা, পপাইয়া, আম, কমলা, পিয়াজ, লেবু ইত্যাদি। এই ফল ও সবজির মাধ্যমে পাইলস রোগীদের পুষ্টি এবং ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের স্বাস্থ্য উন্নত করা যায়।
  • খাদ্য ফাইবার: খাদ্য ফাইবার পাইলসের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। প্রাকৃতিক ফাইবার ধারণ করা খাদ্যগুলি পাইলসের লক্ষণগুলি সামান্য করে দেয় এবং পাচনতন্ত্রিক সমস্যা হ্রাস করে। খাদ্য ফাইবারের উদাহরণস্বরূপ গোটা গ্রেইন সিরিয়াল, ওটস, ব্রাউন রাইস, মুগডাল, ব্রেড, মুড, লেন্টিলস, কোয়াকারপাঠা, সেম, বিনা খড়ের কঠিন অংশ এবং ব্রেডক্রাম্ব ইত্যাদি।
  • প্রোটিন: প্রোটিন পাইলস রোগীদের জন্য জরুরি একটি উপাদান। এটি উচ্চ সাধারণ পুষ্টি প্রদান করে এবং পাইলসের মানসিক সম্পূর্ণতা বা স্ট্রেস সহ্যতা বৃদ্ধি করে। প্রোটিনের উদাহরণস্বরূপ মাংস, চিকেন, ডাক মাংস, মাছ, ডানা, ডাল, প্রোটিন বার, তুলসী বীজ, সোয়ার ইত্যাদি।
  • ডাইটারি পরিবর্তন: যদি পাইলস রোগী কে কোনও খাবারে আলার্জি থাকে তাহলে সে ধরণের খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন, কেমিক্যাল সম্পন্ন খাবার, তীক্ষ্ণ খাদ্য, পানির পদার্থ, বালিশানুযায়ী সব ধরণের খাবারে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে।
  • পানি: প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করা পাইলস রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানি পান করা ত্বক হ্রাস করে এবং ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে শুকানোর জন্য সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে 8-10 গ্লাস পানি পান করা উচিত।
আশা করি, পাইলস এর খাবার সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি আপনাদের দিতে সক্ষম হয়েছি। তবে, মনে রাখবেন যে, পাইলস চিকিৎসার জন্য একটি ব্যালান্সড ও স্বাস্থ্যকর আহার পরামর্শ পাওয়া উচিত। একটি প্রয়োজনীয় পাইলস চিকিৎসাবিদের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

শেষ কথা - পাইলস এর লক্ষণ ও কারণ - পাইলস এর চিকিৎসা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো পাইলস কি, পাইলসের প্রকারভেদ, পাইলস এর লক্ষণ, পাইলস এর চিকিৎসা, পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা, পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম, পাইলস এর চিকিৎসা কোথায় ভালো হয়, পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ হোমিওপ্যাথি, পাইলস এর ছবি, পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ, পাইলস এর খাবার,পাইলস এর ক্রিম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং এরকম আরো আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন