মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না?

প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা আসসালামু আলাইকুম, আজকের আর্টিকেলে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল- মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না। অনেকেই হয়তো জানেন না মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না, যার ফলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেজন্য আপনাদের এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকা। নিম্নে মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে পরবর্তী হয় না এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া রয়েছে।
মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবত হয় না এটি আলোচনা করার পাশাপাশি এ বিষয়ে সম্পর্কিত আরও কিছু বিষয় বা তথ্য রয়েছে যা হলো- মাসিক হওয়ার কত দিন পর সহবাস করা নিরাপদ, পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সন্তান হবে না, কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না, কিভাবে করলে সন্তান হয় না সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

সূচিপত্রঃ মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না এই বিষয়ে জানার আগ্রহ অনেকেরই থাকে।কেননা অনেক মেয়ে চায় না অসতর্কতার কারণে গর্ভবতী হতো বা অসময়ে গর্ভবতী হতে। সে জন্য আজ আমার আর্টিকেলে মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না সম্পর্কে সঠিক ধারণাটি
দিব। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে আসি মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না সম্পর্কে-
মাসিকের রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার দিন থেকে প্রথম ৭ দিন ও শেষ ৭ দিন সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম থাকে। তবে এই শর্ত কেবলমাত্র সেই সকল নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যাদের মাসিক নিয়মিত ২৮ দিন (বা নিয়মিত ২৬ থেকে ৩১ দিন) অন্তর অন্তর হয়।

এদের ক্ষেত্রে মাসিক শুরু হওয়ার দিনকে প্রথম দিন ধরে গুনতে থাকলে মোটামুটি ১২ থেকে ১৯ তম দিনে ডিম্বানু নির্গমন হয়। ডিম্বাণু ওভুলেশনের পর প্রায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা জীবিত থাকে এবং স্ত্রীর জননতন্ত্রে বীর্যস্থলনের শুক্রাণু ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। তাই মাসিকের ৭ থেকে ২১ তম দিন পর্যন্ত সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে

মাসিকের বাকি দিনগুলো, প্রথম থেকে সপ্তম ও ২১তম দিন থেকে পুনরায় মাসিক শুরু হওয়ার দিন পর্যন্ত সহবাসের নিরাপদ সময় হিসেবে গণ্য করা হয়। মনে রাখবেন যে, রক্তক্ষরণ শুরু হবার দিনকে প্রথম দিন ধরে কিন্তু উপরোক্ত হিসেব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে মাসিকের কোন দিনই প্রকৃত নিরাপদ দিন নয়। উপরে উল্লেখিত নিরাপদ সময়ে সহবাস করলেও গর্ভধারণের স্বল্প হলেও কিছুটা সম্ভাবনা থেকে যায়। কাজেই অপর কোন জন্মনিয়ন্ত্রণের উপায়, যেমন কনডম বা বিল ব্যবহার করাই শ্রেয়। কারণ যাদের মাসিক অনিয়মিত বা ২৮ দিনের থেকে অনেক কম তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু উপরোক্ত হিসাব প্রযোজ্য নয়।

তাই ক্যাজুয়াল সহবাস বা বিবাহ বহিঃর্ভূত সহবাস করার সময় এই পদ্ধতির ওপর কখনোই নির্ভর করা উচিত নয়। এ পদ্ধতি শুধুমাত্র সেই সকল দম্পতিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা হয়তো এখনই বাচ্চা-কাচ্চা চান না কিন্তু নেহাৎ হয়ে গেল কোন অসুবিধা নেই।
  • মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না তার হিসাবচক্রঃ
যারা এখনই সন্তান নিতে চাচ্ছেন না বা আবার অনিয়মিত কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (যেমন কিল বা কনডম) ব্যবহারে অনিহা, তাদের জন্য একটি প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ওভুলেশন বা ডিম্বপাতের সময়টি হিসাব করে ওই সময়ে সহবাস বন্ধ রেখে বা অল্প সময়ের জন্য কোন জন্ম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
  • সময়ের হিসাব কিভাবে গণনা করবেন
যে নারীরা প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল পদ্ধতি ব্যবহার করতে চান, তাদের পূর্ববর্তী ৬ মাসের মাসিকের হিসাব রাখতে হবে। একবার মাসিক শুরু হওয়ার থেকে পরবর্তী মাসিক শুরু হওয়া পর্যন্ত কতদিনের ব্যবধান থাকে তা লিখে রাখতে পারলেই ভালো। তারপর সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে মাচিকচক্র থেকে ১৮ দিন বিয়োগ করতে হবে এবং সবচেয়ে দীর্ঘ মাসির চক্র থেকে ১১ দিন বিয়োগ করতে হবে।

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না তার উদাহরণ স্বরূপ বলে বলা যায়, যেমন কারো মাসিক চক্রের হিসাব যদি এমন হয় যে ২৫ থেকে ৩০ দিন, তাহলে হিসাবটা হবে: ২৫-১৮ = ৭, আবার ৩০-১১ = ১৯ দিন। তাহলে তার ওভুলেশনের সম্ভাবনা মাসিকের ৭ম থেকে ১৯তম দিন পর্যন্ত। এই সময়টাকে ডেঞ্জার পিরিয়ড বলে। এই সময় সহবাস বন্ধ রাখা বা স্বামীর কনডম ব্যবহার করলে গর্ভধারণের ঝুঁকি কমে যায়। 
  • এ পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা গুলো কি?
এই পদ্ধতি তাদের জন্য প্রযোজ্য যাদের মাসিক নিয়মিত। মাসিক যাদের তাদের জন্য এ পদ্ধতি ফলস্বরূপ হবেনা। নানারকম গবেষণায় দেখা গেছে, এ পদ্ধতিতে ফেইলর রেট অনেক বেশি এমনকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। 

সুতরাং আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে সক্ষম হয়েছে মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না। আপনাদের বোঝার ক্ষেত্রে  বিস্তারিত ভাবে সকল তথ্য উপস্থাপন করেছি। আশা করি একটু সময় নিয়ে পড়ার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে সক্ষম হবেন যে মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না।

মাসিক হওয়ার কত দিন পর সহবাস করা নিরাপদ

যারা বাচ্চা নেওয়ার কোন পরিকল্পনা করেন না তাদের ক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো যে মাসিক হওয়ার কত দিন পর সহবাস করা নিরাপদ। কেননা অনেকে মাসিক হওয়ার কত দিন পর সহবাস করা নিরাপদ এ বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু অনেকেই মাসিক হওয়ার কত দিন পর সহবাস করা নিরাপদ এই বিষয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়। তাই আজ আপনাদের মাসিক হওয়ার কত দিন পর সহবাস করা নিরাপদ সে সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি নিম্নে দেওয়া রয়েছে:
পিরিয়ডের সময় অনিরাপদ যৌন মিলন বাঞ্ছনীয় নয় । অরক্ষিত যৌন মিলন, মৌখিক, মলদ্বার বা যোনি যাই হোক না কেন, ত্বক থেকে ত্বকের যৌনাঙ্গের সংস্পর্শের কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। যদিও পিরিয়ডের সময় সহবাস করাকে প্রায়ই নিরাপদ বলে মনে করা হয়, তবে এটি যোনি স্রাবের কারণে সংক্রমণের ঝুঁকির কারণ হতে পারে । ইস্ট ইনফেকশন হল পিরিয়ড সেক্সের সময় অর্জিত সবচেয়ে সাধারণ সংক্রমণ।

সাধারণভাবে, মহিলা মাসিক চক্রের শেষ দিন বা প্রজনন সময় সম্প্রসারণের দৃষ্টিতে প্রজনন সময়ের প্রথম 7-10 দিন পর্যন্ত সহবাস করলে সাধারণভাবে গর্ভধারণের ঝুঁকি প্রতিরোধ হয়। এই সময়ে মহিলার ডিলাইট ওভুলেশন বা ডিজিলাইট অভিন্ন সময় সম্পর্কে একে অন্যকে বিশেষ ধরনের সহবাস প্রদান করতে পারে, এটি অতিরিক্ত সুরক্ষিত বলা যায় না।

তবে, মহিলা স্বাস্থ্য, যৌন স্বাস্থ্য এবং সহবাসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিস্থিতি ও প্রকারের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন হতে পারে। এটি যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপনার জিজ্ঞাসা ও চিন্তা থাকলে, একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলা সার্থক হতে পারে। পিরিয়ডের সময় সুরক্ষিত যৌন মিলনের কিছু সাধারণ সুবিধা রয়েছে, যেমন:
  • পিরিয়ড ক্র্যাম্প উপশম: যেহেতু জরায়ু তার আস্তরণ ত্যাগ করতে পারে, তাই প্রচণ্ড উত্তেজনা মাসিকের ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি দিতে পারে। জরায়ুর পেশী সংকুচিত হয় এবং সময়ের সাথে সাথে মুক্তি পায়, যার ফলে পেশীতে টান কম হয়। এছাড়াও, যৌনতা এন্ডোরফিনের মুক্তির দিকে পরিচালিত করে, যা শরীরের ব্যথা, মাথাব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
  • ভাল তৈলাক্তকরণ : পিরিয়ডের সময় সহবাসের সবচেয়ে বিশিষ্ট সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল এটি আরও ভাল তৈলাক্তকরণের অনুমতি দেয়। যৌন মিলনের সময় যদি যোনি বেশিরভাগ শুষ্ক থাকে, তাহলে মাসিক প্রবাহ প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট হিসেবে কাজ করে তৈলাক্ততা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি নিরাপদ এবং আরও আরামদায়ক যৌনতায় অবদান রাখে।
সুতরাং উপরোক্ত তথ্য দ্বারা আপনারা নিশ্চয় বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে মাসিক হওয়ার কত দিন পর সহবাস করা নিরাপদ। এছাড়াও আপনি চাইলে মাসিক হওয়ার কত দিন পর সহবাস করা নিরাপদ সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরও পরামর্শ নিতে পারেন।

পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সন্তান হবে না

পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সন্তান হবে না এটি জানা অত্যন্ত জরুরি। কেননা যদি পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সন্তান হবে না এ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে তবে নিজেদের অজান্তেই তারা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। সুতরাং পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সন্তান হবে না এ সম্পর্কে আজকে রাতে গেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে আসি পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সন্তান হবে না সম্পর্কে-
সন্তানের ধারণার সময় প্রকৃতপক্ষে পিরিয়ডের কাউন্টডাউন করা হয় মাসের দিকে। এটি সাধারণভাবে মাসের প্রথম দিন হতে গণনা করা হয়। এই মাসিক চক্র সাধারণভাবে ২৮ থেকে ৩২ দিনের মধ্যে অবস্থান করে, যা স্ত্রীদের যারা নির্দিষ্ট সাধারণ চক্রের মধ্যে থাকে তা অনুভব করতে সক্ষম।

মাসের দিনের সংখ্যা আসলে মহিলাদের দেহে হরমোন স্তরের পরিবর্তনের কারণে পরিবর্তন করতে পারে, যা প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক বিষয়। তবে সাধারণভাবে মাসিক চক্রের প্রথম ১৪ দিন (প্রতিবারের মাসের প্রথম দিন হতে মাসের আগের ১৪ দিন) যা বলা হয় "ফলিকুলার ফেজ" বা "স্ত্রীর ডে"

এবারের ১৪ দিন (প্রতিবারের মাসের প্রথম দিন হতে মাসের পরের ১৪ দিন) হল "ওবুলাটরি ফেজ" বা "বিবাহ পরবর্তী দিন"। এই সময়ে, স্ত্রীদের ডিম্বে পরিবর্তন হয় এবং একটি শুক্রাণু মহিলার বায়ুতে মুক্ত হয়। যখন এটি উপাস্য হয়, তখন এটি পুরুষের শুক্রাণুতে সন্তান প্রসারিত করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

সুতরাং উপরে মাসিক চক্রের দিন গণনার হিসাবের মাধ্যমে পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সে সম্পর্কে বুঝানো হয়েছে। তাছাড়া মহিলার স্বাস্থ্য এবং গর্ভনিরোধ সম্পর্কিত যে কোনও প্রশ্নের জন্য সর্বদা একজন পেশাদার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না

কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না সেই সময়টা অনেকেই জানতে চায়। কেননা কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না যে সম্পর্কে জানার মাধ্যমে অগ্রিম সতর্কতা অবলম্বন করা যায়। সুতরাং আজকে আপনাদের মাঝে নতুন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে আসি কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না সে সম্পর্কে।

সেক্স করার সময় সন্তান হবার সম্ভাবনা মহিলার মাসিক চক্র এবং ওবুলেশনের সাথে সম্পর্কিত রয়েছে। মহিলার মাসিক চক্র একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মহিলার শরীর গর্ভধারণ জন্য প্রস্তুত হয়।

মাসিক চক্র এবং ওবুলেশন
  • মাসিক চক্র প্রায় ২৮-৩২ দিনের মধ্যে ঘটে এবং মাসিক চক্রের দ্বারা মহিলার শরীর প্রস্তুত হয় গর্ভধারণের জন্য। মাসিক চক্রের প্রথম দিন হতে মাসের প্রথম ১৪ দিন মহিলা ফলিকুলার ফেজের অন্তর্ভুক্ত থাকে, এবং পরবর্তী ১৪ দিন হল ওবুলেশনের ফেজ বা বিবাহ পরবর্তী দিন।
  • ওবুলেশন হল মহিলার শুক্রাণু মাসিক চক্রের শেষ দিনে মুক্ত হয়ে সম্ভবত একটি ডিম্বে মুক্ত করার সময়। ওবুলেশন সময়ে একটি পুরুষের শুক্রাণু মহিলার ওবুলে প্রসারিত করতে পারে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মহিলা যখন ওবুলেশনের সময় সহবাস করে, তখন সেক্সুয়ালি সক্ষম শুক্রাণু মহিলার ওবুলে প্রসারিত করতে পারে, যার ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তাছাড়া কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত নিম্নে দেওয়া হল:
  • স্ত্রীর ওভুলেশন না হওয়া: স্ত্রীর ওভারিয়ান ফলোপিয়েন না হওয়া বা স্ত্রীর এক প্রয়াসেও একটি প্রয়াস বা ডিসচার্জ হয় না এমন সময়ে সহবাসের ফলে বাচ্চা হওয়া সম্ভব নয়।
  • প্রজনন সংক্রমণ: কিছু প্রজনন সংক্রমণ এমন যেমন এইচআইভি, এইডস, সিফিলিস, গনরিয়া, আইডি ইত্যাদি সংক্রমণের কারণে ব্যক্তির শরীরে বা স্ত্রীর গর্ভাশয়ে অক্ষম হয়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম হতে পারে।
  • মহিলা অনধিকারী: কিছু মহিলা অনধিকারী হয়ে যারা প্রকৃত ভাবে গর্ভধারণ করতে পারে না। এই কারণেও সহবাসের ফলে বাচ্চা হওয়া সম্ভব নয়।
  • অনুকূল সময়ে সহবাস না: মহিলার ওভুলেশনের সময়ের প্রায় দুই দিন আগে ও পরের এক দিন পর্যন্ত সহবাস করলে বাচ্চা হতে সম্ভব নয়। সহবাসের সময় মহিলা ওভুলেশনের সময়ের কাছাকাছি হলেই গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
সুতরাং কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না এর উপরোক্ত কারণে সহবাসের সময়ে বাচ্চা হতে সম্ভব না হলেও, যদি বাচ্চা প্রত্যাশা করতেন তবে নিয়মিত চেকআপ এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত যাতে  ব্যক্তি কি সমস্যা আছে তা স্পষ্ট হতে পারে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা সরবরাহ করা যায়।

কিভাবে করলে সন্তান হয় না

অনেকে গুগলে অনুসন্ধান করে থাকে যে কিভাবে করলে সন্তান হয় না। সুতরাং আজকে আপনাদের জানাবো কিভাবে করলে সন্তান হয় না। বিষয়টি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  তাহলে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি কিভাবে করলে সন্তান হয় না সম্পর্কে-
  • মানসিক ও শারীরিক তন্দ্রা: মানসিক ও শারীরিক তন্দ্রা সন্তান ধারণ করার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত চিন্তা, তন্দ্রা, লাইফস্টাইলের পরিবর্তন, প্রয়াস, খাবার ও খাওয়ায় বিশেষ করে পুরুষদের শুক্রাণুর গুণগত মানে সংখ্যাগত অক্ষমতা এই সময়ে সন্তান হওয়া কষ্টকর করে তুলতে পারে।
  • অনিয়মিত মাসিক চক্র: মহিলাদের মাসিক চক্রের নিয়মিততা সন্তান ধারণ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি মহিলার মাসিক চক্র নিয়মিত হয় না বা অনিয়মিত হয়, তবে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা প্রকৃতভাবে কম হতে পারে।
  • আন্তর্জাতিক কারণ: কিছু আন্তর্জাতিক কারণে সন্তান ধারণ করা সম্ভব হয় না। উদাহরণস্বরূপ, কিছু ক্ষুদ্র প্রজাতিগুলির জন্য উচ্চ সন্তান ধারণ হতে পারে না।
  • অক্ষমতা বা বন্ধ্যতা: স্ত্রী বা পুরুষ যদি প্রাকৃতিক ভাবে সন্তান ধারণ করতে অক্ষম হয়, তবে বন্ধ্যতা বলা হয়। এই ক্ষেত্রে কিছু কারণ হতে পারে যেমন ইউনিয়ন অক্ষমতা, অধিক শরীরের ওভারিয়ান স্থান, শুক্রাণুর সমস্যা ইত্যাদি।
  • শুক্রাণুর গুণগত মানে সংখ্যাগত অক্ষমতা: পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানে সংখ্যাগত অক্ষমতা হলে, সন্তান ধারণের সম্ভাবনা প্রকৃতভাবে কম হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যা বা গুণগত মানের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর প্রদর্শনীর সম্মুখীন প্রয়াস বা পরামর্শের প্রয়োজন হতে পারে।
  • যৌন সমস্যা: মহিলার ওভারিয়ান ক্ষেত্রে কিছু সময়ে রোগ বা যৌন সমস্যার কারণে সন্তান ধারণ করা বা গর্ভধারণের সময়ে সমস্যা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে যৌন স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিত্সা গ্রহণ করা উচিত।
  • সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন স্থায়ী বা সামান্য ওজন, শারীরিক বা মানসিক তন্দ্রা, শরীরের হরমোনাল সমস্যা, আলকোহল অথবা মাদক ব্যবস্থা, অতিরিক্ত উচ্চ বা নিম্ন ওজন ইত্যাদি সন্তান ধারণের সম্ভাবনা প্রকৃতভাবে কম করতে পারে।
বন্ধুরা আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন কিভাবে করলে সন্তান হয় না বা কোন পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে সন্তান হয় না। তাছাড়া একটি ব্যক্তি যদি বিরক্তি বা সন্তান ধারণের সমস্যার সম্মুখীন হয় তবে বাৎসরিক পরীক্ষা, যৌন স্বাস্থ্য সেবা এবং চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

শেষ কথাঃ মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না ?

প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে তোমাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে পারবে। তাছাড়া আজকের আর্টিকেলে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা হলো- মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না, মাসিক হওয়ার কত দিন পর সহবাস করা নিরাপদ, পিরিয়ডের কত দিন আগে সহবাস করলে সন্তান হবে না, কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না, কিভাবে করলে সন্তান হয় না সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের নিকট অনুরোধ রইল হার্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। শেষ পর্যন্ত সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন