কম্পিউটারের জনক কে - ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কে

প্রিয় পাঠক ও পাটিকা আসসালামু আলাইকুম, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক আর্টিকেল পর্যালোচনা করে দেখলাম অধিকাংশ আর্টিকেলের কম্পিউটারের জনক কে ও কম্পিউটারের আবিষ্কারক কে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি দেওয়া নেই। সেজন্য আপনার অনেকে ভুল তথ্যটি পেয়ে থাকেন। তাই আজ আপনাদের আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে কম্পিউটারের জনক কে ও কম্পিউটার আবিষ্কারক কে সহ এই বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করব। 
আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হলো- কম্পিউটারের জনক কে, কম্পিউটারের আবিষ্কারক কে, ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কে, আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে তিনি কোন দেশের নাগরিক, পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক কে, সুপার কম্পিউটারের জনক কে,কম্পিউটারের জনক কে কেন তাকে জনক বলা হয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে আসি কম্পিউটারের জনক কে ও ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কে সে সকল তথ্য সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ কম্পিউটারের জনক কে - ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কে 

কম্পিউটারের জনক কে

অনেক সময় চাকরি পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ  এর  সময় কম্পিউটারের জনক কে এই প্রশ্নটি করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ আর্টিকেলে কম্পিউটারের জনক কে এই সম্পর্কে ভুল তথ্যটি দেওয়া থাকে। তাই কম্পিউটারের জনক কে এই সম্পর্কে আজকে আপনাদের পূর্ণাঙ্গ এবং সঠিক তথ্যটি দিব। তাহলে চলুন জেনে আসি কম্পিউটারের জনক কে সেই সম্পর্কে-
চার্ল্স ব্যাভেজ (Charles Babbage)

চার্ল্স ব্যাভেজ (Charles Babbage) কে কম্পিউটারের জনক বলা হয়। চার্ল্স ব্যাভেজ একজন ব্রিটিশ গণিতবিদ,পদার্থবিদ,প্রকৌশলী এবং মেকানিক্যাল প্রকাশক ছিলেন, যিনি ১৭৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর এ জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৭১ সালের ১৭ অক্টোবর তার মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক হিসাবে পরিচিত হন কারণ তার ধারাবাহিক ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ব্লুপ্রিন ছিল এবং তিনি প্রথম মেকানিক্যাল কম্পিউটার ডিজাইন করার চেষ্টা করেন। তার প্রধান কম্পিউটার ডিজাইন ছিল "অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন" নামে যা প্রাকৃতিক সংখ্যা বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয় এবং সাধারণ গণনা প্রক্রিয়ার প্রযুক্তির মাধ্যমে গণনা করতে সক্ষম ছিল। এই ইঞ্জিন মেকানিক্যাল বিভিন্ন গ্যারিং,সাম এবং ক্যামেরা ব্যবহার করে গঠিত করা হয়ে ছিল।

ব্যাভেজ এছাড়াও মেমরি কার্ড এবং অপারেশন রিসার্চে প্রচারিত ছিলেন। তিনি ডিফারেন্স ইঞ্জিন ও অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের জন্য প্রকাশিত "টেবিউল অফ লজিক" নামক একটি বই লেখেন, যা গণিতীয় তালিকা এবং লজিক অপারেশনের প্রয়োজনীয় বেসিক বিধিগুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করে।

চার্ল্স ব্যাভেজ একজন উৎকৃষ্ট বিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবক ছিলেন, যার কারণে তার গবেষণা এবং ব্যক্তিগত কম্পিউটার ডিজাইন বহু দশক পরেও বৃদ্ধি এবং বিকাশ পেয়েছে। এই কারণেই চার্ল্স ব্যাভেজ আজও কম্পিউটারের জনক হিসাবে সম্মানিত হয়।

কম্পিউটারের আবিষ্কারক কে

কম্পিউটারের আবিষ্কারক কে ? এ বিষয়ে অনেকে ভাবেন কম্পিউটারের আবিষ্কারক চার্লস ব্যাবেজ কিন্তু সেই তথ্যটি ভুল। চার্লস ব্যাবেজ হলে কম্পিউটারের জনক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কম্পিউটারের আবিষ্কারক কে এর প্রকৃত উত্তরটি জানতে হলে নিচের অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন জেনে আসি কম্পিউটারের আবিষ্কারক কে সে সম্পর্কে-
হাওয়ার্ড আইকেন (Howard Aiken) কে কম্পিউটারের আবিষ্কারক বলা হয়। হাওয়ার্ড আইকেন একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ছিলেন, যার দ্বারা মডেল ১ নামে পরিচিত একটি বিশাল ব্যাক্তিগত গণনা যন্ত্র তৈরি করা হয়। তিনি ১৯৪০ সালে এই যন্ত্রটি তৈরি করেন এবং এর জন্য প্রধান প্রবর্তক হিসেবে মান্য হন।
হাওয়ার্ড আইকেনের প্রধান কাজ ছিল হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাবে একটি বিশাল গণনা যন্ত্র তৈরি করা। এই যন্ত্রটির নাম ছিল "এইচএসএস মার্ক ১" (IBM Automatic Sequence Controlled Calculator), যা পরিচিত হয়েছিল হারভার্ড মার্ক ১ হিসেবে। এটি সাধারণত মিক্সড সামান্যিক গণনা যন্ত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এই যন্ত্রটি ব্যবহার করে গণনা যন্ত্র বিশ্বের সবচেয়ে স্বতন্ত্র এবং গণনার নির্দেশিত হিসেবে পরিচিত হয়। হারভার্ড মার্ক ১ তৈরির পর থেকে, আইকেন অন্যান্য ব্যাক্তিগত যন্ত্রগুলির উন্নয়নে কাজ করেন।

সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে কম্পিউটারের আবিষ্কারক কে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি সংগ্রহ করতে পেরেছে। তাছাড়া হাওয়ার্ড আইকেনের যান্ত্রিক উদ্যোগ এবং কম্পিউটারের বিজ্ঞানে প্রয়োগ করা সেই কারণে, তিনি একজন কম্পিউটারের আবিষ্কারক হিসেবে পরিচিত হন।

ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কে

জন ভন নিউম্যান (John von Neumann) কে ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক বলা হয়। জন ভন নিউম্যান হলেন একজন মার্টিয়ার হাঙ্গেরিয়ান গণিতবিদ, মেশিন শিক্ষাবিদ, এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী।

জন ভন নিউম্যানের জীবনকাহিনী:
  • জন্ম ও শিক্ষা: জন ভন নিউম্যান ১৯০৩ সালে বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরি সম্প্রদায়িক একটি ইতিহাসকার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বড় হয়ে গ্যাটে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত পড়াশোনা করতে যান। তাঁর গণিত অধ্যয়ন গড়ে ওঠে প্রসিডিংস, বোয়ের, তত্ত্বাবধান ক্যালকুলাস ও কুয়ান্টাম মেকানিক্সের ক্ষেত্রে।
  • শোধ ও গবেষণা: পরে নিউম্যান জার্মানি ও স্যুইজারল্যান্ডে গবেষণা করতে গিয়ে সিজারল্যান্ডের জার্মান বায়োফিজিকাল গবেষক হোয়ার্ড বেন্তন সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন। এই সময়ে, তিনি অ্যাটমিক বাৰ্তার সম্পর্কে অনুশীলন করতে গিয়ে তার সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েন। তাঁর এই সময়ে তিনি প্রতিষ্ঠান ক্যালকুলাস সম্পর্কে অনুশীলন করেন, যা পরে গণিতে মডেলিং এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনপ্রিয়তা লাভ করে।
  • ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক: ১৯৪৫ সালে, নিউম্যান প্রস্তুতি করেন সেরা ডিজিটাল কম্পিউটার এইএনআইএসি (ENIAC) এর জন্য একটি মেমোরি প্রস্তুত করার। এটি তখন তার সময়ের মধ্যে সেরা এবং অবাধ্য গণিতগত উপায়ে গুণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার কেন্দ্রে প্রয়োগ করা হয়। এর এইচএলএইচ (EDVAC) প্রকল্পের প্রস্তাবনা নিয়ে নিউম্যান অনুশীলন করেন, যা পরবর্তীতে বিশ্বের মাঝে প্রচলিত ডিজিটাল কম্পিউটারের মডেল হিসেবে প্রয়োগ পেয়েছে।
  • নিউম্যান আর্কিটেকচার: জন ভন নিউম্যানের প্রস্তাবনা, স্টোরেজ এবং প্রক্রিয়ার মডেলের সাথে মিশে গিয়ে, এবং এই মডেলটি নিউম্যান-আর্কিটেকচার নামে পরিচিত হয়ে গিয়েছে। এই আর্কিটেকচার মডেলটি আজকের বড় কম্পিউটারের নকশা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা আমরা আধুনিক কম্পিউটার সিস্টেমে দেখতে পাই।
সর্বশেষ, উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমেআপনারা হয়তো জানতে সক্ষম হয়েছে যে ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কে। জন ভন নিউম্যান অ্যাকুট ব্রেইন স্ট্রোকের কারণে ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭ সালে একটি মার্জিক নিয়ে দেয়ার পর মারা গিয়েন। তিনি তাঁর অগ্রযাত্রায় একটি শীর্ষস্থান অধিকারী, গণিতবিদ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানীর আদর্শ হিসেবে বেচে থাকবেন।

আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে ? তিনি কোন দেশের নাগরিক

আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে এই প্রশ্নের উত্তরটিতে আমরা অনেকে দ্বিধার মধ্যে থাকি। কেননা অনেক আর্টিকেলে আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে এর উত্তর হিসাবে চার্লস ব্যাবেজ কে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে এর উত্তর হিসেবে অনেকে জন ভন নিউম্যান কে চিহ্নিত করেন। 
তাই আজ আপনাদের আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে এই সম্পর্কে একদম সঠিক তথ্যটি দিব। তার চলুন জেনে আসি আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে সে সম্পর্কে-
  • জন ভন নিউম্যান (John von Neumann) কে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। জন ভন নিউম্যান হলেন একজন মার্টিয়াল হাংরিয়ান ব্যক্তি, যিনি এইচপিডি (HPD) গণিতবিদ, পদার্থবিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞানী, এবং উপাধ্যায় হিসেবে চরম প্রসিদ্ধিত ছিলেন। তিনি দিগন্তবাদী মানুষ এবং বিশেষ ভাষায় বলা গেলেন "ম্যার্টি জয়ন নোয়মান"।
  • ১৯৪০ এর দশকের মধ্যভাগে তিনি একটি নিবন্ধন লিখেন। যেখানে উল্লেখ ছিল কম্পিউটার যন্ত্রের জন্য বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে এবং কম্পিউটার যন্ত্রের অভ্যন্তরীণ ডাটা ও নির্বাহ সংকেত মজুদ করা যেতে পারে। জন ভন নিউম্যান এই ধারণাটি সংরক্ষণ করেন এবং যেটি "প্রোগ্রাম" নামে খ্যাত ছিল। জন ভন নিউম্যান প্রস্তাবগুলো আজও আধুনিক কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়। এজন্যই জন ভন নিউম্যান কে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
উপরোক্ত কারণগুলো দ্বারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে। আশা করি আমার আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।

চার্লস ব্যাবেজ কে কম্পিউটারের জনক বলা হয় কেন

চার্লস ব্যাবেজ কে কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক বলা হয় কারণ তিনি প্রথম প্রোগ্রামাবল ডিজিটাল কম্পিউটার তৈরি করেন। তিনি ব্যাবেজিয়ান মেশিন নামে একটি কম্পিউটার বিতর্কের উদ্দেশ্যে তৈরি করেন, যা প্রথম প্রোগ্রাম চালানো যায়। চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয় কেন তার কারণগুলো নিম্নে দেওয়া হলো:
  • প্রথম প্রোগ্রামাবল ডিজিটাল কম্পিউটার: চার্লস ব্যাবেজ তৈরি করেছিলেন প্রথম প্রোগ্রামাবল ডিজিটাল কম্পিউটার যা বিশেষ লজিক সার্কিটের সাথে প্রোগ্রাম চালাতে পারত। এটি প্রথম প্রোগ্রাম চালানোর প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করে।
  • বিশাল গণনা ক্ষমতা: চার্লস ব্যাবেজ তৈরি করেছিলেন প্রথম বিশাল গণনা যন্ত্র যা গণিতের বৃহত্তম সমস্যাগুলির সমাধান করতে সক্ষম ছিল। এটি অনেক বড় গণনা সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম ছিল যা মানব গণনা যন্ত্রগুলির জন্য অসম্ভব ছিল।
  • কম্পিউটার বিজ্ঞানের প্রগতির পথিকৃত হয়েছিলেন: ব্যাবেজ বিশ্বের প্রথম প্রোগ্রামাবল কম্পিউটারের নির্মাতা হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন, যা একটি গণনা যন্ত্র থেকে একটি প্রোগ্রামাবল কম্পিউটারের দিকে পরিবর্তনের মাধ্যমে কম্পিউটার বিজ্ঞানের সাধারণ এভলিউশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
  • উদাহরণ প্রয়োজনীয়তা: চার্লস ব্যাবেজের ব্যাবেজিয়ান মেশিন একটি প্রোগ্রামাবল কম্পিউটার ছিল এবং এটি অনেক গণনা সমস্যাগুলি সমাধান করতে পারত। এই যন্ত্রটির উন্নতমানে প্রয়োজনীয়তা অনুমতি দিয়েছিল যাত্রা আধুনিক ডিজিটাল কম্পিউটারের উন্নতি করা হয়েছে।
উপরে উল্লেখিত কারণগুলির দ্বারা চার্লস ব্যাবেজ কে কম্পিউটারের জনক বলা হয়। তাঁর যন্ত্রিক উদ্যোগ এবং উদার দক্ষতা কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক কে

পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক কে হয়তো অনেকেই জানেন না। পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক কে এই প্রশ্নের সঠিক তথ্যটি আজকে আপনাদের মাঝে প্রকাশ করব। তাহলে চলুন জেনে আসি পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক কে -
হেনরি এডওয়ার্ড রবার্ট (Henry Edward Robert) অভিযান কেসন বা এইসিকে (H.E.R.) কে মানা হয় পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক। তিনি ব্রিটিশ ম্যাথেমেটিকিয়ান ছিলেন এবং ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ রয়েল কম্পিউটিং মেশিনস (RRE) সংস্থায় একটি কম্পিউটার নিয়োজিত করার জন্য একটি প্রস্তাবনা করেন। এটি একটি প্রয়োগকারী পার্সোনাল কম্পিউটার হিসেবে মনে করা যায়, যা প্রোগ্রাম চালাতে একজন অপারেটরের সাথে সমন্বিত ছিল।
এই সিস্টেমটি কোম্পানি "এল্লেন ব্রেডলি আইবিএম" (Allen Bradley IBM) দ্বারা তৈরি হয়েছিল, এবং এটি একটি ডাস্টেক কার্ড পাঞ্চ সিস্টেমে ভিত্তি করে ছিল। এই সিস্টেমে ক্যালকুলেটরের মতো নামকরণের প্রয়োজন ছিল না, এবং প্রোগ্রাম একটি নেপস্টিক নোটবুকে লেখা হয়েছিল যাতে সংবেদনশীল মানুষের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি কার্ডে সংগ্রহ করা হয়।

এই প্রথম প্রয়োগকারী পার্সোনাল কম্পিউটার হিসেবে, এইসিকেকে পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক বলা হয় যে তিনি এই ধরনের কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা স্থাপন করেন। এই প্রথম প্রয়োগকারী কম্পিউটার এবং তার বৈশিষ্ট্যগুলি পরবর্তী পার্সোনাল কম্পিউটারগুলির উন্নতির উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

সুতরাং উপরক্ত আলোচনার মাধ্যমে হয়তো বুঝতে পেরেছেন পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক কে। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে সম্পূর্ণ তথ্যটি দেওয়া হয়েছে। আশা করি পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক কে এই সম্পর্কে আপনাদের মধ্যে আর কোন অস্পষ্ট কথা থাকার কথা না।

সুপার কম্পিউটারের জনক কে

সুপার কম্পিউটার অনেক শক্তিশালী কম্পিউটার প্রযুক্তি। তবে সুপার কম্পিউটার জনক কে সে সম্পর্কে কারো সঠিক জ্ঞান নেই। তাই আজ আপনাদের মাঝে সুপার কম্পিউটারের জনক কে সে সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে আসি সুপার কম্পিউটারের জনক কে সে সম্পর্কে -

সেমোর ক্রে (Seymour Cray) কে সুপার কম্পিউটারের জনক বলা হয়। কারণ তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার ও কম্পিউটার আর্কিটেক্ট ছিলেন, যিনি সুপার কম্পিউটারের উন্নত ডিজাইন এবং ক্রিয়াশীলতা পরিবর্তন করেন। তিনি মডার্ন কম্পিউটার আর্কিটেকচারের প্রবর্তক হিসেবে বিখ্যাত হন।
সেমোর ক্রে প্রথমে ক্রে-১ (Cray-1) নামের সুপার কম্পিউটার তৈরি করেন, যা ১৯৭৬ সালে মার্কেটে প্রকাশিত হয়। এই সিস্টেমটি তিনি নিজের প্রয়োজন মেটাতে তৈরি করেন এবং এর সাথে বিল এবং ক্রিত বিধির প্রয়োজন ছিল না। ক্রে-১ একটি সুপার কম্পিউটারের রূপান্তর করা যেতে পারে যা তথ্য প্রসেসিং ও সাইন্টিফিক গণিত অ্যাপ্লিকেশনের জন্য উপযুক্ত ছিল।
তারপরে সেমোর ক্রে অন্যান্য সুপার কম্পিউটারগুলি তৈরি করেন, যেগুলির মধ্যে ক্রে-২, ক্রে-৩, ক্রে-৪, ক্রে-৫ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এই সুপার কম্পিউটারগুলি মহাবিশালকার গণনার শক্তি এবং তাদের উচ্চ গতি এবং দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের জন্য পরিচিত।

সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা নিশ্চয় সুপার কম্পিউটারের জনক কে সে সম্পর্কে অবগত হয়েছে। কেননা তাঁর কার্যকালে তিনি সুপার কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা এবং উচ্চ গণনা ক্ষমতা প্রমাণ করেন, যা পরবর্তী সুপার কম্পিউটার গুলির উন্নতির উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

শেষ কথাঃ কম্পিউটারের জনক কে - ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কে 

প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো কম্পিউটারের জনক কে, কম্পিউটারের আবিষ্কারক কে, ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কে, আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে তিনি কোন দেশের নাগরিক, পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক কে, সুপার কম্পিউটারের জনক কে,কম্পিউটারের জনক কে কেন তাকে জনক বলা হয় সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং এরকম আরো আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন