কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন

প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনারা সকলে আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো কম্পিউটার কি ও কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে। কম্পিউটার হলো একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ যা তথ্য প্রক্রিয়া করতে ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন প্রকারের কাজ করতে পারে, যেমন ডাটা সংরক্ষণ, প্রক্রিয়া করা, নির্দেশ পালন এবং প্রদর্শন। একটি কম্পিউটার বিশাল তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে এবং এক্সিকিউট করতে পারে একাধিক ধরণের প্রোগ্রাম।
সুতরাং আজকের আর্টিকেলে আলোচ্য বিষয়গুলো হলো- কম্পিউটার কি, কম্পিউটার পরিচিতি, কম্পিউটারের প্রকারভেদ, প্রথম আবিষ্কৃত কম্পিউটারের নাম কি, কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন, কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি, কম্পিউটার কি কি নিয়ে গঠিত, কম্পিউটার এর ব্যবহার, কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য, সম্পর্কে। তাহলে চলুন কম্পিউটার কি ও কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।

সূচিপত্রঃ কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন

কম্পিউটার কি

অনেকে পড়াশোনার জন্য বা অফিশিয়াল কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু কম্পিউটার কি সে সম্পর্কে তাদেরকে স্পষ্ট ধারণা নেই। সুতরাং আজ আপনাদের জানাবো কম্পিউটার কি সে সম্পর্কে যাতে আপনাদের কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা আরও স্পষ্ট হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে আসি কম্পিউটার কি তার সংজ্ঞা।
  • কম্পিউটার (Computer) হলো একটি সংজ্ঞায়িত এলেকট্রনিক ডিভাইস যা তথ্য প্রক্রিয়া এবং বিভিন্ন ধরণের গণনা-নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। এটি তথ্যকে ইনপুট হিসাবে গ্রহণ করে, তারপরে তা প্রক্রিয়া করে এবং উপযুক্ত আউটপুট সৃষ্টি করে এবং এলেকট্রনিক ডিভাইস প্রক্রিয়াগত ক্ষমতা ও বাস্তব সময়ে নির্দিষ্ট নির্দেশনা পালনের জন্য সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকে কম্পিউটার বলে।
সুতরাং কম্পিউটার কি তার সংজ্ঞা আপনারা বুঝতে পেরেছেন। তবে কম্পিউটারের সম্পূর্ণ কার্যক্রম সম্পর্কে আপনারা জানেন না। তাই নিম্নে কম্পিউটার সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত ধারণা দিতে কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

কম্পিউটার পরিচিতি

কম্পিউটার কি এ বিষয়ের সংজ্ঞা সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়া থাকে। যার কারণে কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে বুঝতে একটু সমস্যা হয়। সুতরাং আপনাদের সমস্যা দূর করার জন্য কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানাবো। যাতে কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে বুঝতে আপনাদের কোন সমস্যা না হয়। তাহলে চলুন জেনে আসি কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে-
  • কম্পিউটার একটি সুখল যন্ত্রাংশ যা তথ্য প্রক্রিয়া করতে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রায় সময়, শক্তি, বা কার্যকারিতা দ্বারা মাপা যেতে পারে, যেমন মাইক্রোপ্রসেসর, কোয়ান্টাম কম্পিউটার ইত্যাদি।
  • কম্পিউটার বিভিন্ন ধরণের প্রোগ্রাম চালানোর ক্ষমতা আছে, এবং এটি সাধারণভাবে সংখ্যাগত, অক্ষরগত এবং লজিক গঠনের বহু ধরণের তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে। কম্পিউটার একটি অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করতে পারে এবং প্রোগ্রামগুলি সম্পাদন করার জন্য ভাষা ব্যবহার করে।
  • কম্পিউটার বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে, যেমন কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট (CPU), মেমোরি (RAM), স্টোরেজ (হার্ড ডিস্ক, এসএসডি), ইনপুট ডিভাইস (কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার), এবং আউটপুট ডিভাইস (মনিটর, প্রিন্টার)।
  • কম্পিউটারের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে রয়েছে, যেমন শিক্ষা, ব্যবসায়, সার্বজনীন জীবনের উন্নতি, গবেষণা, নিয়ন্ত্রণ, মডেলিং, নিউরাল নেটওয়ার্ক, প্রোগ্রামিং, গেইমিং, ইন্টারনেট এবং অনলাইন সেবা প্রদান করা।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে হয়তো আপনি কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়া সারাদিন আমরা কম্পিউটারের ব্যবহার সম্পর্কে সামান্য বা অনেক বেশি নির্ভর করে এবং এটি প্রায় প্রতিদিন আমাদের জীবনের একটি অভ্যন্তরীণ অংশ হয়ে উঠেছে।

কম্পিউটারের প্রকারভেদ

কম্পিউটারে প্রকারভেদ জানার জন্য অনেকে গুগল অনুসন্ধান করে থাকে। তবে অধিকাংশ আর্টিকেল কম্পিউটারের প্রকারভেদ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া থাকে। সুতরাং আজ আপনাদের কম্পিউটারের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

কম্পিউটারের প্রকারভেদ: কম্পিউটারের গঠন ভিত্তিকভাবে তিনটি প্রধান প্রকার আছে। কম্পিউটারের প্রকারভেদ গুলো নিম্নে দেওয়া হলো- 
  1. অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer)
  2. ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer)
  3. হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer)
1. অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer)
  • অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer):  অ্যানালগ কম্পিউটার অ্যানালগ বা নির্দেশ সংখ্যায় তথ্য প্রক্রিয়া করে। এই প্রকারের কম্পিউটারে সময়ের সাথে পরিবর্তন করার কিছু সাধারণ যন্ত্র এবং উপাদান ব্যবহৃত হয়। অ্যানালগ কম্পিউটার প্রধানত নেটওয়ার্ক এবং অক্ষরগত মাত্রাতিরিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়, যেমন অ্যানালগ কম্পিউটারের একটি উদাহরণ হলো থার্মোমিটার এবং তাপমাত্রা নির্ণয়।
2. ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer)
  • ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer): ডিজিটাল কম্পিউটার সংখ্যাগত সিস্টেমে তথ্য প্রক্রিয়া করে, যা অ্যানালগ কম্পিউটারের সাথে তুলনায় বেশি প্রস্তুতিশীল। এটি 0 এবং 1 বিটের ডিজিটের সাথে তথ্য স্টোর করে এবং লজিক গেইটগুলি ব্যবহার করে প্রোগ্রামের অভিন্ন কাজগুলি সম্পাদন করে। ডিজিটাল কম্পিউটার বেশিরভাগ সাধারণ ব্যবহারে ব্যবহার করা হয়, যেমন পার্সোনাল কম্পিউটার, সার্ভার, ল্যাপটপ, এবং স্মার্টফোন।
তাছাড়া ডিজিটাল কম্পিউটার কে গঠন ও প্রচলিত নীতি ভিত্তি অনুযায়ী চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। নিম্নে ডিজিটাল কম্পিউটারের প্রকারভেদ গুলো দেওয়া হলো-
  1. মাইক্রোকম্পিউটার (Microcomputer)
  2. মিনি কম্পিউটার (Minicomputer)
  3. মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)
  4. সুপার কম্পিউটার (Supercomputer)
মাইক্রোকম্পিউটার (Microcomputer)
মাইক্রোকম্পিউটার সাধারণভাবে একজন ব্যক্তি বা একটি ছোট অফিস বা কার্যালয়ের ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট বা স্মার্টফোন হিসেবে থাকতে পারে। মাইক্রোকম্পিউটারে সাধারণভাবে একটি প্রোসেসর, মেমোরি, ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস বা স্ক্রিন, কিবোর্ড এবং মাউস সহ থাকে। এই ক্যাটাগরিতে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কম্পিউটার বিদ্যমান, যেমন আইবিএম, ডেল, হিউলেট প্যাকার্ড, এসাস, এচপি, লেনোভো, অ্যাপল ইত্যাদি।
মাইক্রোকম্পিউটার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। মাইক্রো কম্পিউটারের প্রকারভেদ গুলো নিম্নরূপ:
  • ডেস্কটপ
  • ল্যাপটপ
ডেস্কটপ (Desktop): 
ডেস্কটপ একটি কম্পিউটার ফরম বা উপাদান যা স্থায়ী একটি কাবিনে বা স্থানান্তরিত বিক্রিয়াকল্পে রয়েছে। এটি সাধারণভাবে ডেস্ক উপরে রেখে ব্যবহার করা হয়, এবং প্রস্তুত ডেস্কটপ সাধারণভাবে একটি কেসে অবস্থিত থাকে, যা অভ্যন্তরীণ কম্পোনেন্টগুলি সুরক্ষিত রাখে। ডেস্কটপ কম্পিউটারের বিভিন্ন উপাদান প্রক্রিয়া করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন কেন্দ্রীয় প্রকার প্রক্রিয়াকর্ম (CPU), মাদ্ধমিক এন্ট্রি সংযোগ (RAM), হার্ড ডিস্ক, মাউস, কিবোর্ড, মনিটর, স্পিকার ইত্যাদি। ডেস্কটপ কম্পিউটার সাধারণভাবে বৃহত্তর স্ক্রিন, পাওয়ারফুল প্রক্রিয়াকর্ম এবং বিশেষভাবে গোলাপী পানি প্রদান করে যা প্রফেশনাল প্রয়োজনে উপযুক্ত। এটি অফিস কাজ, ব্যবসায়িক প্রয়োজন, শিক্ষাগত প্রয়োজন, গেমিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মিডিয়া প্রক্রিয়া, অথবা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা হয়।

ল্যাপটপ (Laptop): 
ল্যাপটপ একটি সহজলভ্য পোর্টেবল কম্পিউটার ফরম বা উপাদান, যা ব্যবহারকারীর সাথে সাথে সহজলভ্যভাবে বহন করা যায়। ল্যাপটপ কম্পিউটারের সমতুল্য সামর্থ্য সহজলভ্যতা প্রদান করে এবং এটি সাধারণভাবে একটি কেসে প্রস্তুত থাকে, যা কম্পোনেন্টগুলি সুরক্ষিত রাখে। ল্যাপটপ কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকর্ম (CPU), মাদ্ধমিক এন্ট্রি সংযোগ (RAM), হার্ড ডিস্ক, স্ক্রিন, কিবোর্ড, টাচপ্যাড, ব্যতীত ক্যামেরা, উইফাই, স্পিকার ইত্যাদি উপাদানের মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে। ল্যাপটপ প্রায়শই ব্যবহারকারীর প্রয়োজনে উচ্চ ব্যবহারযোগ্যতা, পোর্টেবলিটি, ব্যবস্থাপনা সহজতা এবং মডার্ন জীবনধারার সাথে সঙ্গত করে তাই এটি ঘরে, অফিসে, কলেজে, বিদেশে, যাত্রা এবং ব্যবসায়িক প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা হয়।

মিনি কম্পিউটার (Minicomputer)
মিনি কম্পিউটার মাইক্রোকম্পিউটারের থেকে বৃদ্ধি পাওয়া এবং বেশি কাজ সাধারণ কম্পিউটারের থেকে কম বিশেষ ব্যবহারে ব্যবহৃত হয়। মিনি কম্পিউটারে বেশি মেমোরি, প্রক্রিয়াকর্ম, নেটওয়ার্ক সংযোগ বা কার্যকারিতা রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের প্রযুক্তিগত ব্যবহারের প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করা হয়। মিনি কম্পিউটার শুরুতে ব্যাংক, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং প্রক্ষেপিত অবস্থা ব্যবসায়িক প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হতো। মিনি কম্পিউটারের উদাহরণ হলো দিগন্ত বিক্রয় সিস্টেম, অনুষ্ঠানের প্রবর্তক সিস্টেম, প্রক্ষেপিত স্পেসশিপ ব্যাবস্থা সমন্বয়ন, এবং নেশনাল অটোম্যাটিক স্ট্যান্ডার্ড অ্যাসসোসিয়েশন (NASA) কাম্পিউটার সিস্টেম ইত্যাদি।

মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)
মেইনফ্রেম কম্পিউটার মূলত বৃদ্ধি পাওয়া এবং বৃদ্ধি বা সার্বজনীন ব্যবসায়িক প্রয়োজনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই কম্পিউটারে বেশি প্রক্রিয়াকর্ম, মেমোরি সাপেক্ষ একটি শক্তিশালী প্রক্রিয়াকর্ম, অনেক সেবার জন্য কম সংখ্যক উপাদান এবং স্থায়ী স্টোরেজ স্থান রয়েছে। মেইনফ্রেম কম্পিউটারের একটি উদাহরণ হলো ব্যাংক, প্রক্ষেপিত অবস্থা, এবং প্রযুক্তি বিভাগে ব্যবহৃত প্রযুক্তিতে সার্ভার প্রয়োজন হতে পারে। মেইনফ্রেম কম্পিউটারের উদাহরণ হলো আইবিএম সিস্টেম/360 এবং সিস্টেম/370 সিরিজ, হিউলেট প্যাকার্ড 9000 সিরিজ, ইবএম জিএস/পিতি সিরিজ ইত্যাদি।

সুপার কম্পিউটার (Supercomputer)
সুপারকম্পিউটার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দ্রুততম কম্পিউটার। এটি অত্যধিক জনগণনা কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন বৈজ্ঞানিক গণিত, জলবায়ু মডেলিং, অ্যাসট্রোফিজিক্স, প্রক্ষেপিত অবস্থা সিমুলেশন ইত্যাদি। সুপারকম্পিউটারের সময়ের সাথে পরিবর্তন করা সাধ্য নয়, এবং এটি শক্তিশালী ইলেকট্রিক্যাল কম্পোনেন্ট ব্যবহার করে যা বিশেষভাবে সুপারকম্পিউটারের উচ্চ গণনাসম্প্রসারণ কাজে সামর্থ্য প্রদান করে। এই কম্পিউটারের একটি উদাহরণ হলো ইবএম সুপারকম্পিউটার সিরিজ, সিয়াস্টম-১, সান-নেহেলেম-২০০০ ইত্যাদি।

3. হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer):
  • হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer): হাইব্রিড কম্পিউটার অ্যানালগ এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের সমন্বয় হয়েছে। এই প্রকারের কম্পিউটারে একটি অ্যানালগ কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটারের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যার ফলে এই কম্পিউটারের গঠন দুটির উপযুক্ততা সমন্বয় করা সম্ভব। হাইব্রিড কম্পিউটার সাধারণভাবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রক্ষেপিত অবস্থা, রোবোটিক্স, এবং প্রজ্ঞামনবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়। এই প্রকারের কম্পিউটার সাধারণভাবে আউটপুটের প্রক্রিয়া এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের গঠনের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

প্রথম আবিষ্কৃত কম্পিউটারের নাম কি

প্রথম আবিষ্কৃত কম্পিউটারের নাম কি জানার জন্য অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু বিভিন্ন আর্টিকেলে প্রথম আবিষ্কৃত কম্পিউটারের নাম কি এ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেওয়া থাকে। ফলে সঠিক উত্তরটি বুঝতে আপনাদের সমস্যা হয়। তা আজ আমার আর্টিকেলে প্রথম আবিষ্কৃত কম্পিউটারের নাম কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি দিব। তাহলে চলুন জেনে আসি প্রথম আবিষ্কৃত কম্পিউটারের নাম কি তা সম্পর্কে-
সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত কম্পিউটারের নাম "ENIAC" (Electronic Numerical Integrator and Computer) ছিল।যা ইউনিভার্সিটি অফ পেন্সিলভেনিয়ার এমারিকেন সেন্ট্রাল ইলেকট্রিকাল এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবোরেটরিজে ১৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৪৬ সালে তৈরী করা হয়েছিল। ENIAC হলো প্রথম ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার, যা গণনা প্রক্রিয়া পালনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ENIAC এর নগরে প্রায় ১৭,০০০ ভিট, ১১,০০০ ডায়োড, ও ৭,০০০ রেজিস্টার ইউনিট ছিল। এটি মোট ২৭ টন ওজনের ছিল এবং লম্বায় ৮০ ফুট, চওড়ায় ৩ ফুট এবং উচ্চতা ১৫ ফুট ছিল। ENIAC এ বিভিন্ন ধরনের গণনা প্রক্রিয়া পালন করার সক্ষমতা ছিল, যা তার সময়ে সাধারণ মেশিনের কাজের তুলনায় অগ্রগতি ছিল।

"ENIAC" ১৯৪৬ সালে প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং এর লঞ্চ করা হয়েছিল এমারিকা সেন্ট্রাল ইলেকট্রিকাল এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবোরেটরিজে ১৯৪৭ সালে। এটি সেন্ট্রালের অনুমতি প্রয়োজন ছিল এবং এটির মাধ্যমে প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম চালানো হয়েছিল ডেটার জন্য এনিয়েক।

কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন

কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন এ প্রশ্নের প্রেক্ষিতে অনেকে ভাবেন কম্পিউটারের আবিষ্কারক চার্লস ব্যাবেজ। কিন্তু এই তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল কেননা চার্লস ব্যাবেজ হলেন কম্পিউটারের জনক আবিষ্কারক নয়। সুতরাং কে আর্টিকেলে কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি আপনাদের প্রদান করব। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন ?
  • হাওয়ার্ড আইকেন (Howard Aiken) কম্পিউটার আবিষ্কার করেন।
হাওয়ার্ড আইকেন (Howard Aiken) একজন মার্ক্সিস্ট মানববিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী ছিলেন, যাকে কম্পিউটারের আবিষ্কারক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি প্রথম প্রয়োগকারী ডিজিটাল কম্পিউটার হিসেবে প্রসিদ্ধি পেয়েছেন, যা কম্পিউটার বিজ্ঞানের উন্নতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন হিসেবে গন্য করা হয়।

হাওয়ার্ড আইকেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, কিন্তু কম্পিউটারের বিকাশের দিকে তাঁর আগ্রহ ছিল। তিনি ১৯৩৭ সালে হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রোজেক্ট শুরু করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল বিশেষভাবে গণনা করার জন্য একটি ব্রহ্মগণিত যন্ত্র তৈরি করা। এই প্রোজেক্টের ফলে তাঁর প্রথম সফলতা হয়েছে, এবং তিনি প্রথম প্রোগ্রামাবল ব্যাবেজিয়ান মেশিন তৈরি করার সাথে সাথে কম্পিউটার বিজ্ঞানে তাঁর নাম প্রসিদ্ধি লাভ করেন।

১৯৪৪ সালে, হাওয়ার্ড আইকেন এবং তাঁর দল বিশেষ সেশন ম্যাকসিমা হলের সাথে একটি সম্প্রদায়িক ব্রহ্মগণিত মেশিন তৈরি করতে কাজ করেন, যা প্রস্তুত হয়েছিল যাতে সেশন এর গণিতের সমস্যাগুলি সমাধান করতে সক্ষম হয়।

তাহলে উপরে একটা আলোচনার মাধ্যমে আপনার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কম্পিউটার কি আবিষ্কার করেন। কেননা কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন এই বিষয়গুলো সবারই জেনে রাখা উচিত। কারণ বিভিন্ন পরীক্ষা প্রশ্নের ও ভাই এই ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।

কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি

অনেকেই কম্পিউটার বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে কিন্তু কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি বা কম্পিউটার কি কাজের জন্য আবিষ্কার করা হয় সে সম্পর্কে জানেন না। সুতরাং কম্পিউটার প্রধান কাজ কি এগুলো জানা প্রয়োজন। তাহলে চলুন জেনে আসি কম্পিউটার প্রধান কাজ কি সে সম্পর্কে-
  • গণনা (Calculation): কম্পিউটার গণনার জন্য ব্যবহৃত হয়। গণনা করে কম্পিউটার মৌলিক অপারেশন যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ এবং অন্যান্য গণিতিক ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করে।
  • তথ্য সংরক্ষণ (Data Storage): কম্পিউটার তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। তথ্য সংরক্ষণের জন্য কম্পিউটারে অনেক ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়, যেমন হার্ড ডিস্ক, সলিড স্টেট ড্রাইভ, ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, এবং সি‌ডি/ডিভিডি ড্রাইভ।
  • তথ্য প্রসেসিং (Data Processing): কম্পিউটার তথ্য প্রসেসিং করে, যা বিভিন্ন প্রকারের তথ্য প্রসেসিং বা ক্রিয়া বিশিষ্ট করে, যেমন তথ্য প্রবেশ করানো, তথ্য মোডিফাই করা, তথ্য বৃদ্ধি করা, তথ্য মোছা, মোডিফাই করা, তথ্য সাজানো, ও তথ্য সম্প্রচার করা এবং অন্যান্য কাজ সম্পাদন করা।
  • তথ্য প্রদান (Data Output): কম্পিউটার তথ্য প্রদান করে। তথ্য প্রদানের জন্য প্রিন্টার, মনিটর, স্পিকার, প্রজেক্টর এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহৃত হয়।
  • যোগাযোগ (Communication): কম্পিউটার তথ্য প্রদান এবং গ্রহণ করার জন্য নেটওয়ার্ক কম্পোনেন্টগুলির সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এটি ডেটা সেন্ড ও রিসিভ করার সাথে সাথে ইন্টারনেট, লোকাল এলার্ম নেটওয়ার্ক (ল্যান), ওয়াইফাই, সেলুলার নেটওয়ার্ক, ইথারনেট, সাইবার নেটওয়ার্ক ইত্যাদির মাধ্যমে সাধারণ হতে পারে।
উপরের তথ্যগুলো দ্বারা কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি সে সম্পর্কে বলা হয়েছে। এই প্রধান কাজগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটার বিভিন্ন কাজ এবং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহার হয়, যেমন ডেটা প্রসেসিং, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মাল্টিমিডিয়া উপাদান প্রদর্শন, কম্পিউটার গেমস, সফটওয়্যার এবং এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সাইন্টিফিক গণনা, ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি।

কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জানা আমাদের প্রয়োজন। কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত থাকলে সহজে কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়। তাহলে চলুন জেনে আসি কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে-
কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
  • দ্রুততা (Speed): কম্পিউটার খুব দ্রুত কাজ করতে পারে এবং অনেক সময় একাধিক কাজ একই সাথে করতে পারে। এটি শীঘ্রই তথ্য প্রক্রিয়া করতে সক্ষম যা প্রয়োজনীয় সময় সংক্ষেপে করে তোলে।
  • সঠিকতা (Accuracy): কম্পিউটার অনুমান করার এবং ভুল কম করার সাথে ব্যক্তিগত ভুল বা বৈধ তাপস্থান না করে এটি সঠিক নতুন তথ্য প্রদান করতে সক্ষম।
  • অটোমেশন (Automation): কম্পিউটার অটোমেশন সম্পাদন করতে সক্ষম, যা মানুষের প্রক্রিয়া কম করে এবং কাজের দ্বিগুণ বা ত্রিগুণ বৃদ্ধি করে।
  • স্থায়িত্ব (Durability): কম্পিউটার অনুমান করার এবং ভুল কম করার সাথে ব্যক্তিগত ভুল বা বৈধ তাপস্থান না করে এটি সঠিক নতুন তথ্য প্রদান করতে সক্ষম।
  • স্থায়িত্ববান (Reliability): কম্পিউটার অনুমান করার এবং ভুল কম করার সাথে ব্যক্তিগত ভুল বা বৈধ তাপস্থান না করে এটি সঠিক নতুন তথ্য প্রদান করতে সক্ষম।
  • জনপ্রিয়তা (Versatility): কম্পিউটার বিভিন্ন ধরণের কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম, যেমন গণনা, তথ্য সংরক্ষণ, তথ্য প্রদর্শন, ইন্টারনেট, গেম খেলা, প্রোগ্রামিং, ইত্যাদি।
  • স্থানীয় ও নেটওয়ার্ক প্রকাশ (Local and Network Communication): কম্পিউটার একটি নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এবং তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণ করা যেতে পারে।
  • স্থানীয় এবং নেটওয়ার্ক প্রিন্টিং (Local and Network Printing): কম্পিউটার একটি স্থানীয় প্রিন্টার বা নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এবং ডকুমেন্ট বা তথ্য প্রিন্ট করা যেতে পারে।
  • স্থানীয় ও নেটওয়ার্ক সংরক্ষণ (Local and Network Storage): কম্পিউটার একটি স্থানীয় স্টোরেজ ড্রাইভ বা নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যেখানে তথ্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
  • ইনপুট ডিভাইস সমৃদ্ধি (Input Device Variety): কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরণের ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করা যায়, যেমন কীবোর্ড, মাউস, টাচস্ক্রিন, স্ক্যানার, মাইক্রোফোন, ইত্যাদি।
  • আউটপুট ডিভাইস সমৃদ্ধি (Output Device Variety): কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরণের আউটপুট ডিভাইস ব্যবহার করা যায়, যেমন মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার, ইত্যাদি।
  • সহজ ব্যবহার (User-friendly): সব ব্যবহারকারী একটি কম্পিউটার বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে, এটি একটি সহজ ইন্টারফেস প্রদান করে।
  • স্কেলাবিলিটি (Scalability): কম্পিউটার তার কাজের সাথে ব্যক্তিগত বা পেশাদার প্রয়োজনীয় সময়ে স্কেল করা যাতে পারে।
  • সংকল্প (Consistency): কম্পিউটার যোগাযোগ সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করতে পারে এবং সংকল্প মেনে চলে, যা নিশ্চিত করে যে প্রতিটি বার্তা বা কাজ সম্পাদিত হবে একই উপায়ে।
  • স্বচ্ছতা (Efficiency): কম্পিউটার কাজ সম্পাদনে কার্যকর এবং কার্যকরী হতে পারে যার ফলে সময় এবং উপায় বাঁচানো হয়।
মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য গুলো তথ্য প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিকে তার সরঞ্জাম, কার্য এবং ব্যবহারের সময় ভিন্নভাবে প্রদর্শিত হতে পারে।

কম্পিউটার কি কি নিয়ে গঠিত

কম্পিউটার একটি সংখ্যাগত ডিজিটাল ডিভাইস যা ইনপুট তথ্য গ্রহণ করে, তা প্রক্রিয়া করে, তথ্য সংরক্ষণ করে এবং উপযুক্ত ফলাফল তৈরি করে। কম্পিউটার ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ধরণের কাজ সম্পাদন করতে পারি, যেমন ডেটা প্রসেসিং, তথ্য স্টোরেজ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মাল্টিমিডিয়া এডিটিং, গেম খেলা, প্রোগ্রামিং, স্প্রেডশীট তৈরি, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং অন্যান্য কাজগুলো।

কম্পিউটার কি কি নিয়ে গঠিত
  • কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট (Central Processing Unit - CPU): এটি কম্পিউটারের মন বলা যায়। এটি প্রোসেসর নামেও পরিচিত। কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট কম্পিউটারের ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়া করতে ব্যবহৃত হয়, যা গাণিতিক এবং মানসিক কার্যকলাপ সম্পাদনে সহায়ক হয়।
  • মেমোরি (Memory): মেমোরি তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে প্রক্রিয়া করা তথ্য অস্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ করা হয়। যখন কম্পিউটার চালু হয়, এটি মেমোরি থেকে প্রোগ্রাম এবং তথ্য লোড করে প্রক্রিয়া করে। কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের মেমোরি রয়েছে, যেমন র‍্যাম (Random Access Memory), রোম (Read-Only Memory), রেজিস্টার, ক্যাশ (Cache) ইত্যাদি।
  • স্টোরেজ (Storage): স্টোরেজ তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি কম্পিউটারের অনেক বেশি তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়, যা প্রক্রিয়া করা হয়নি। স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটা পরিচ্ছন্নভাবে সংরক্ষিত থাকে, যেমন হার্ড ডিস্ক, সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD), পেন ড্রাইভ, ওপটিকাল ডিস্ক (CD, DVD), ব্লু-রে ইত্যাদি।
কম্পিউটার কার্যকরী করার জন্য কোম্পিউটার প্রোগ্রাম এবং অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজন। প্রোগ্রাম হলো কম্পিউটারের মূল নির্দেশনা সেট, যা স্পেশাল সিস্টেমে লেখা হয় যার মাধ্যমে কম্পিউটার বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারে। অপারেটিং সিস্টেম হলো একটি সফ্টওয়্যার যা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সম্পর্কিত সেবা প্রদান করে, কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ এবং মেমোরি ম্যানেজমেন্ট, ফাইল প্রবেশ, নেটওয়ার্ক সংযোগ ইত্যাদি।
কম্পিউটার প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের সমন্বয়ে আধুনিক প্রয়োগের প্রায় সমস্ত বিষয়ে ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটারের ব্যবহার আমাদের সমস্ত জীবনাচারে প্রভাবিত করে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করে, যেমন বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত সংচার, কমার্শিয়াল প্রয়োজন, ভিডিও কনফারেন্স, অনলাইন শিক্ষা ইত্যাদি।

কম্পিউটার এর ব্যবহার

অনেকের কম্পিউটার এর ব্যবহার করার ক্ষেত্র গুলো জানতে চায়। কম্পিউটার এর ব্যবহার অনেকগুলো হয়ে থাকে। সুতরাং আপনাদের মাঝে কম্পিউটার এর ব্যবহার সম্পর্কিত কিছু ক্ষেত্র তুলে ধরা হলো:
  • ডেটা প্রসেসিং: একটি কম্পিউটার সংখ্যাগত অথবা লগিকাগত কাজ সম্পাদনে সহায়ক হয়, যেমন গণনা, তালিকা তৈরি, প্রদর্শন, ডেটা বিশ্লেষণ ইত্যাদি। অফিসে এই প্রক্রিয়াগুলি প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ব্যবস্থাপনা, লেখা-খাটা, ব্যাংকিং, অ্যাকাউন্টিং, স্প্রেডশীট তৈরি ইত্যাদি কাজ করা হয়।
  • ইন্টারনেট ব্রাউজিং: কম্পিউটার সাধারণভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য খুঁজে পেতে ব্যবহৃত হয়। ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিজিট করা, তথ্য পড়া, ভিডিও দেখা, সাম্প্রতিক সমাচার প্রাপ্তি, এমেল পাঠানো, সামাজিক যোগাযোগ ইত্যাদি কাজ করা হয়।
  • মাল্টিমিডিয়া সম্পাদন: কম্পিউটার অলকেমিক্যাল উপাদানের মধ্যে ছবি, ভিডিও, অডিও সম্পাদন করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ভিডিও সম্পাদন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ভিডিও কাটছাঁট করা, ইফেক্ট যুক্ত করা, অডিও সংক্রান্ত প্রয়োগ ইত্যাদি করা হয়। সাধারণভাবে ভিডিও সম্পাদন এবং আউডিও মিক্সিং জনপ্রিয় কাজ।
  • গেম খেলা: গেমিং একটি ব্যবহারকারীর মজার সময়পাস হিসেবে কম্পিউটার খোলা হয়। ভিডিও গেম, অনলাইন গেম, মোবাইল গেম ইত্যাদি খেলা করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
  • অনলাইন শিক্ষা: কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন শিক্ষার্থী অনলাইন পাঠ্যপুস্তক, টিউটোরিয়াল, কোর্স, এবং শিক্ষামূলক সামগ্রী প্রাপ্ত করে বা অনলাইনে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা প্রদান করা হয়। আরও কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ইন্টারেক্টিভ শিক্ষা অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
  • সামাজিক যোগাযোগ: সমাজে সামাজিক যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। কম্পিউটার দ্বারা আমরা সামাজিক মাধ্যমে আমাদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করতে পারি, মেসেজ পাঠাতে পারি, স্ট্যাটাস আপডেট করতে পারি, ভিডিও কল করতে পারি, এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে পারি।
উপরোক্ত বিষয়গুলো কম্পিউটার এর ব্যবহার করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কয়েকটি উদাহরণ, কম্পিউটার এর ব্যবহার একটি অসীম ক্ষেত্র, যা প্রায় প্রতিটি ব্যক্তির দৈনিক জীবনে প্রভাবিত করে।

শেষ কথাঃ কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা হয়তো কম্পিউটার কি ও কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। তাছাড়া কম্পিউটার সম্পর্কিত আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে এই আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে, সে বিষয়গুলো হলো- কম্পিউটার পরিচিতি, কম্পিউটারের প্রকারভেদ, প্রথম আবিষ্কৃত কম্পিউটারের নাম কি, কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি, কম্পিউটার কি কি নিয়ে গঠিত, কম্পিউটার এর ব্যবহার, কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন, যার মাধ্যমে আপনি সঠিক জ্ঞানকে অর্জন করতে পারবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন