রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা জানতে চান? আপনাকে স্বাগত জানাই সঠিক জায়গাতে এসেছেন। এই আর্টিকেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কন্টেন্ট সূচিপত্রঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতাঃ ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতার অনেক বড় ভক্ত। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কবিতা কোনটি? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ কবিতা কোনটি? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধুনিক কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা সমগ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ছোট কবিতা আলোচনা করা হবে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধুনিক কবিতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধুনিক কবিতা অনেকগুলো রচনা করেছেন। আমাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়িনি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধুনিক কবিতা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ প্রেমের কবিতা ১০০+ সেরা ভালোবাসার কবিতা

১। পুরাতন বছরের জীর্ণক্লান্ত রাত্রি

২। ভাবনা নিয়ে মরিচ কেন ক্ষেপে

৩। তোমারে কি বারবার করেছিনু অপমান

৪। যে কথা বলিতে চাই

৫। আমার মনের জানালাটি আজ হঠাৎ গেল খুলে

৬। উৎসর্গ

৭। আত্মসমর্পণ

৮। অক্ষমা

৯। মুক্তি

১০। গতি

১১। বন্ধন

১২। বসুন্ধরা

১৩। পুরস্কার

১৪। প্রখ্যাত

১৫। যেদিন উদিলে তুমি বিশ্ব কবি দূর সিন্ধু পারে

১৬। আজ প্রভাতের আকাশটি এই

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ কবিতা কোনটি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কবিতা কোনটি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চিনিনা এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা সকলেই ছোট থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়ে বড় হয়েছি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কবিতা কোনটি? এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ কবিতা কোনটি? এ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কবিতা কোনটি? এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ কবিতা কোনটি জেনে নেওয়া যাক।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৮ বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্বাবোধিনী পত্রিকায় তার "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটি ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কবিতা হল হিন্দু মেলার উপহার।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ কবিতা হল "শেষ লেখা"। শেষের কবিতা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম এবং শেষ কবিতার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা সমগ্র

যারা কবিতা পড়তে পছন্দ করে সাধারণত তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা সমগ্র জানতে চায়। যেহেতু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বকবি তাই তার কবিতা সকলেই পছন্দ করে। নিচের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা সমগ্র সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ বৃষ্টি নিয়ে রোমান্টিক কবিতা - বৃষ্টি নিয়ে রোমান্টিক স্ট্যাটাস

  • সোনার তরী
  • চিত্রা
  • পুনশ্চ
  • চৈতালি
  • গীতাঞ্জলি
  • ক্ষণিকা
  • বালাকা
  • কল্পনা
  • পূরবী
  • মহুয়া
  • পত্রপুট
  • সেঁজুতি
  • ভগ্নহৃদয়

প্রেমের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সাধারণত আমরা মানুষ হিসেবে প্রেম প্রিয়। প্রেমের কবিতা পড়তে আমরা অনেকেই পছন্দ করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা প্রেমের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে আলোচনা করব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাধারণত প্রেমপ্রিয় মানুষ ছিলেন। তিনি অনেকগুলো প্রেমের কবিতা রচনা করেছেন। তো নিচে প্রেমের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উল্লেখ করা হলো।

অচির বসন্ত হায় এল, গেল চলে

অচির বসন্ত হায় এল, গেল চলে
এবার কিছু কি, কবি করেছ সঞ্চয়।
ভরেছ কি কল্পনার কনক-অঞ্চলে
চঞ্চলপবনক্লিষ্ট শ্যাম কিশলয়,
ক্লান্ত করবীর গুচ্ছ। তপ্ত রৌদ্র হতে
নিয়েছ কি গলাইয়া যৌবনের সুরা
ঢেলেছ কি উচ্ছলিত তব ছন্দঃস্রোতে,
রেখেছ কি করি তারে অনন্তমধুরা।
এ বসন্তে প্রিয়া তব পূর্ণিমানিশীথে
নবমল্লিকার মালা জড়াইয়া কেশে
তোমার আকাঙক্ষাদীপ্ত অতৃপ্ত আঁখিতে
যে দৃষ্টি হানিয়াছিল একটি নিমেষে
সে কি রাখ নাই গেঁথে অক্ষয় সংগীতে।
সে কি গেছে পুষ্পচ্যুত সৌরভের দেশে।

আছে আমার হৃদয় আছে ভরে

আছে আমার হৃদয় আছে ভরে,
এখন তুমি যা খুশি তাই করো।
এমনি যদি বিরাজ’ অন্তরে
বাহির হতে সকলই মোর হরো।
সব পিপাসার যেথায় অবসান
সেথায় যদি পূর্ণ করো প্রাণ,
তাহার পরে মরুপথের মাঝে
উঠে রৌদ্র উঠুক খরতর।

এই যে খেলা খেলছ কত ছলে
এই খেলা তো আমি ভালবাসি।
এক দিকেতে ভাসাও আঁখিজলে,
আরেক দিকে জাগিয়ে তোল হাসি।
যখন ভাবি সব খোয়ালাম বুঝি
গভীর করে পাই তাহারে খুঁজি,
কোলের থেকে যখন ফেল দূরে
বুকের মাঝে আবার তুলে ধর।

সংগ্রহঃ bdox.xyz

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ছোট কবিতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ছোট কবিতা যেগুলো পড়তে আরো মজা লাগে। সাধারণত আমরা ছোট থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়ে বড় হয়েছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ছোট কবিতা গুলো উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট

ভিতরে ও বাহিরেঃ

খোকা থাকে জগৎ মায়ের অন্তঃপুরে

তাই সে শোনে কত যে গান

কতই সুরে।

নানান রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দিয়ে

আকাশ পাতাল

মা রচেছেন খোকার খেলা

ঘরের চাতাল।

তিনি হাসেন, যখন তরু

লতার দলে

খোকার কাছে পাতা নেড়ে

প্রলাপ বলে।

প্রশ্নঃ

ভগবান তুমি যুগে যুগে দূত, পাঠায়েছ বারে বারে

দয়াহীন সংসারে,

তারা বলে গেল "ক্ষমা করো সবে", বলে গেল ভালোবাসো

অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ নাশো’।

বরণীয় তারা, স্মরণীয় তারা, তবুও বাহির-দ্বারে

আজি দুর্দিনে ফিরানু তাদের ব্যর্থ নমস্কারে।

আমি যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রিছায়ে

হেনেছে নিঃসহায়ে,

সাম্যবাদীঃ

গাহি সাম্যের গান

যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান

যেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুস্‌লিম-ক্রীশ্চান।

গাহি সাম্যের গান!

কে তুমি? পার্সী? জৈন? ইহুদী? সাঁওতাল, ভীল গারো?

কন্‌ফুসিয়াস্‌? চার্বআখ চেলা? বলে যাও বলো আরো!

বন্ধু, যা-খুশি হও,

পেটে পিঠে কাঁধে মগজে যা-খুশি পুঁথি ও কেতাব বও,

কোরান, পুরাণ, বেদ, বেদান্ত, বাইবেল, ত্রিপিটক

জেন্দাবেস্তা গ্রন্থসাহেব প’ড়ে যাও, য্ত সখ

কিন্তু, কেন এ পন্ডশ্রম, মগজে হানিছ শূল?

দোকানে কেন এ দর কষাকষি? পথে ফুটে তাজা ফুল

তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব সকল কালের জ্ঞান

সকল শাস্র খুঁজে পাবে সখা, খুলে দেখ নিজ প্রাণ

তোমাতে রয়েছে সকল ধর্ম, সকল যুগাবতার,

তোমার হৃষয় বিশ্ব দেউল সকল দেবতার।

কেন খুঁজে ফের’ দেবতা ঠাকুর মৃত পুঁথি -কঙ্কালে?

হাসিছেন তিনি অমৃত হিয়ার নিভৃত অন্তরালে

মাস্টার বাবুঃ

আমি আজ কানাই মাস্টার,

বড় মোর বেড়াল ছানাটি

আমি ওকে মারি নে মা বেত,

মিছিমিছি বসি নিয়ে কাঠি।

রোজ রোজ দেরি করে আসে

পড়াতে দেয় না ও তো মন,

ডান পা তুলিয়ে তোলে হাই,

যত আমি বলি "শোন, শোন"।

দিনরাত খেলা খেলা খেলা,

লেখা পড়ায় ভারি অবহেলা।

আমি বলি ‘চ ছ জ ঝ ঞ’

ও কেবল বলে "মিয়ো, মিয়ো"।

প্রথম ভাগের পাতা খুলে

আমি ওরে বোঝাই মা কত

চুরি করে খাস নে কখনে,

ভাল হোস গোপালের মতো।

ছোট বড়ঃ

এখনো তো বড়ো হই নি আমি,

ছোটো আছি ছেলেমানুষ ব'লে।

দাদার চেয়ে অনেক মস্ত হব

বড়ো হয়ে বাবার মতো হলে।

দাদা তখন পড়তে যদি না চায়,

পাখির ছানা পোষে কেবল খাঁচায়,

তখন তারে এমনি বকে দেব

বলব, "তুমি চুপটি করে পড়ো"।

বলব, "তুমি ভারি দুষ্টু ছেলে"

যখন হব বাবার মতো বড়ো।

তখন নিয়ে দাদার খাঁচাখানা

ভালো ভালো পুষব পাখির ছানা।

সাড়ে দশটা যখন যাবে বেজে

নাবার জন্যে করব না তো তাড়া।

সংগ্রহঃ bangla-kobita

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতাঃ উপসংহার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কবিতা কোনটি? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ কবিতা কোনটি? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধুনিক কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা সমগ্র, প্রেমের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ছোট কবিতা উল্লেখ করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনার রক্ত বিষয় গুলো জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমার আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ। ২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন